শফিকুল ইসলাম, রাবি

২২ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:৫২

মহাসড়কে যানজট: দেওয়া হলো না ভর্তিপরীক্ষা

স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। রাত-দিন প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার একদিন আগেই রওনা দিয়েছিলেন রাজশাহীর উদ্দেশে। কিন্তু যানজটেই আটকে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। শনিবার সকালে রওনা দিয়েও রোববার সকালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি হাজারো ভর্তিচ্ছু। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ‘আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রওনা দিয়েছিল তারা। ফলে তারা আজকের পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ‘ই’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ই-১ এর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সাড়ে ১০টা থেকে ‘ই’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায়ও তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানায় টাঙাইলে যানজটে আটকে থাকা কয়েকজন পরীক্ষার্থী। দুপুরের পর তারা রাজশাহী পৌঁছাতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ‘ই’ ইউনিটের সাব-ইউনিট ‘ই-১’-এর মাধ্যমে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

ভর্তিচ্ছু আলামিন সাদিক (ই-১ : ২০০০২৮) বলেন, ‘আমি ভর্তি পরীক্ষা দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি গতকাল। পরে সন্ধ্যা ৭ : ৪৫ মিনিটে হানিফ বাসে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আটকে আছি যমুনা সেতুর পূর্বপাড়ে।’

মানিকগঞ্জের ভর্তিচ্ছু খাদিজা খান (ই-১ : ২০৭৬৩) জানান, ‘শনিবার ৭টায় বাসে উঠেছি। টাঙ্গাইলে আটকে আছি। আমার পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৮টায় ছিলো। রাস্তায় বিভিন্ন গাড়িতেই অসংখ্য পরীক্ষার্থী রয়েছে।’

আব্দুল্লাহ আল মস্কুরের (ই-১ : ১৮৬০০০) অভিভাবক আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘আমাদের ঢাকা থেকে বাস ছিলো শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায়। গাড়িতে উঠেছি রাত সাড়ে ৮টায়। রাস্তায় যে অবস্থা তাতে আজকে আসতে দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে। অথচ ছোটো ভাইয়ের পরীক্ষা ছিল সকাল সাড়ে ৮টায়।’

ভর্তিচ্ছু রাহী বলেন, ‘আমার পরীক্ষা সাড়ে ১০টায়। কিন্তু দুপুরেও বোধহয় রাজশাহীতে আসতে পারবো না। রাস্তায় দুর্ভোগের মধ্যে আছি। যানজটের কারণে আমার স্বপ্নই ভেঙে গেল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘আমরা জেনেছি অসংখ্য শিক্ষার্থী রাস্তায় আটকে রয়েছে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। আমাদের পরীক্ষা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পরও হলে ঢুকতে দিব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, “আমরা পরীক্ষার হলে দেখেছি ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। হয়তো রাস্তায় অল্পসংখ্যক আটকে আছে। তবে সাড়ে ১০টার পরীক্ষায় আশা করছি, তারা পৌঁছাবে।”

যানজটে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশাসনে কোনও চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। আমাদের চিন্তা-ভাবনায় এটা নেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত