সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মার্চ, ২০১৮ ১৬:৩৮

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০১৮ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৫ মার্চ) বিকাল আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ২৫ মার্চের গণহত্যায় শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী বাঙালি নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। এটা খুবই নিন্দনীয় ও ঘৃণিত অপরাধ। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ  সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকেই পাকিস্তান সরকার বুঝতে পেরেছিল বাঙালীদেরকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। আর সেখান থেকেই নীল নকশায় আলোচনার কথা বলে কালক্ষেপণ করেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। আদেশ আসে ২৫ মার্চের গণহত্যার। ঐ রাতেই গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ইতিপূর্বেই তিনি দিয়ে যান স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা, অর্জিত হয় স্বাধীনতার।

তিনি আর বলেন, দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ পাকিস্তান সেনাবাহিনী করেছে তা ছিল সুস্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ। পাকিস্তান সরকার যুদ্ধাপরাধে জড়িত সৈন্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও গত ৪৭ বছরে তা পালন করেনি। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও তাদের দোসরদের প্রতি ঘৃণা জানান এবং এই গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। পরিশেষে তিনি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং এ আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান তরুণ সমাজকে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের প্রতি আহবান জানান।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার আহমদ আরিফের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস.এম. আলী আক্কাস, কলা এবং আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুল আহসান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদ চৌধুরী।

আলোচনা সভায় লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত