শাবি প্রতিনিধি

১৬ মে, ২০২০ ১৮:৩০

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানেরর মৃত্যুতে শাবির বাংলা বিভাগের শোক

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক, গবেষক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসও ‘পজিটিভ’ এসেছে বলে ছেলে আনন্দ জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।  

বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. অাশ্রাফুল করিম বলেন, "অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির  এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ গবেষক, শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তিনি অামৃত্যু কাজ করে গেছেন।"

"তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্যের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে এবং তাঁর বিদেহী অাত্মার শান্তি কামনা করছে।”

বাহাত্তরের কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য আনিসুজ্জামান আমৃত্যু ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি শিক্ষকতা করেছেন। তাঁকে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সব সময় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।

৮৩ বছর বয়সী এই অধ্যাপক হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং প্রোস্টেটের সমস্যা ভুগছিলেন। শেষ দিকে তাঁর রক্তে ইনফেকশন দেখা দিয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক এবং পরের বছর স্নাতকোত্তর শেষ করে মাত্র ২২ বছর বয়সে সেখানেই শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আনিসুজ্জামান।

দীর্ঘ কর্মজীবনে শিক্ষকতা, গবেষণা ও মৌলিক সাহিত্য রচনার পাশাপাশি একক ও যৌথভাবে অসংখ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ভাষা ও শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৫ সালে সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে; সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি পান স্বাধীনতা পুরস্কার। ভারত সরকার ২০১৪ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করে।

২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার জামিলুর রেজা চৌধুরী ও রফিকুল ইসলামের সঙ্গে আনিসুজ্জামানকেও জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত