রাজেশ পাল

২০ মার্চ, ২০১৬ ০০:৪০

প্রতাপশালী প্রতাপাদিত্য : ইতিহাসের এক বিস্মৃত মহাবীর

প্রতাপাদিত্য ছিলেন  যশোরের রাজা ও ষোড়শ শতকের বাংলার একজন বিখ্যাত ভূঁইয়া বা জমিদার। তাঁর পিতা বিক্রমাদিত্য শ্রীহরি (শ্রীধর) ছিলেন কায়স্থ এবং সুলতান দাউদ খান কররানীর অধীনে একজন প্রভাবশালী রাজকর্মচারী। দাউদ খানের পতনের পর শ্রীহরি তাঁর নিকট  রক্ষিত সরকারি ধনসম্পদ নিয়ে পালিয়ে যান। অতঃপর তিনি খুলনা জেলার দক্ষিণ  প্রান্তে জলাভূমি অঞ্চলে এক রাজ্য গড়ে তোলেন (১৫৭৪) এবং মহারাজা উপাধি গ্রহণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতাপাদিত্য পিতার রাজ্যের উত্তরাধিকারী হন।

বিক্রমাদিত্য পুত্র প্রতাপাদিত্যের রাজধানী কোথায় ছিলো তা নিয়ে প্রচলিত ৫ টি মত রয়েছে। সতীশচন্দ্র মিত্রের মতে,

  • প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের উত্তরাংশ  ছিল; কিন্তু বিক্রমাদিত্যের রাজধানী কোথায় ছিল, তা ঠিক নাই। জনাব বেভারিজসহ  পাশ্চাত্য লেখকেরা এই মতাবলম্বী।  
  • বিক্রমাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের উত্তরাংশে ছিল এবং প্রতাপের রাজধানী আধুনিক ধুমঘাটের দক্ষিণভাগে অবস্থিত, কিন্তু সে স্থান তখনও ঘোর জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। সাধারণ শিক্ষিত সম্প্রদায় এই  মতাবলম্বী।
  • বিক্রমাদিত্যের রাজধানী উক্ত উত্তরাংশে বা ঈশ্বরীপুর অঞ্চলে ছিল; কিন্তু প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল গঙ্গার মোহনায় সাগরদ্বীপ। এই দ্বীপের অন্য নাম  চ্যান্ডিকান দ্বীপ। নিখিলনাথ রায় মহোদয় এই মতের প্রবর্তক।
  • বিক্রমাদিত্যের রাজধানী তেরকাটিতে বা ১৬৯ নং লাটে ছিল; যা তখনও ঘোর অরণ্য  মধ্যে অবস্থিত ছিল। প্রতাপের নতুন রাজধানী ঈশ্বরীপুরের কাছে ছিল। কেউ বা বলেন, পুরাতন রাজধানী ঈশ্বরীপুরে এবং নতুন রাজধানী তেরকাটিতে ছিল। তেরকাটির বাসিন্দারা অনেকেই একথা বিশ্বাস করেন।
  • প্রাচীন রাজধানী মুকুন্দপুর অঞ্চলে এবং নতুন বা ধুমঘাট দুর্গ ঈশ্বরীপুরের  সন্নিকটে অবস্থিত।

এই ৫টি মতের মধ্যে শেষোক্ত মতটি সতীশচন্দ্র মিত্র সঠিক বলে ধারণা করেন। ধুমঘাটে বা ঈশ্বরীপুর অঞ্চলে প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল। এখন যে স্থানকে মুকুন্দপুর বলে, সেখানেই প্রথম বিক্রমাদিত্যের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার নাম ছিল-যশোহর। পরে প্রতাপের ধুমঘাট রাজধানী সমৃদ্ধিশালিনী হলে, তারও নাম হয়-যশোহর। ক্রমে কীর্তিমন্ডিত এই উভয় রাজধানী পরস্পর মিশে গিয়েছিল এবং আট দশ মাইল নিয়ে সমস্ত স্থানটাই ‘যশোহর’-এই সাধারণ নামে পরিচিত হল। নতুবা যশোহর নামে কোন চিহ্নিত গ্রাম নাই।

১৫৮৭ সালে প্রতাপাদিত্য ঈশ্বরীপুরের কাছে তার নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠা করলেন ও  যশোরেশ্বরী দেবীর মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন। সেখানেই তিনি ইমঘাট দুর্গ ও রামপ্রসাদ নির্মাণ করেন। বাসিন্দাদের উদ্যোগে মহাসমারোহে নতুন রাজধানীতে  প্রতাপাদিত্যকে অভিষেক প্রদান করা হয়। রাজ্যাভিষেকের সময় বার ভূঁইয়াদের অনেকে যশোরে এসেছিলেন এবং প্রতাপাদিত্যর কাছে বঙ্গের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন। প্রতাপাদিত্য দেখছিলেন যে সম্রাট আকবর  আগ্রার রাজদরবার, রাজনীতি ও রাজপরিবারের আত্মকলহ এসব বিষয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং  এর ফলে সমগ্র ভারতবর্ষে বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠেছে। এই সুযোগে প্রতাপাদিত্যও  সৈন্য গঠন ও সীমান্ত রক্ষার জন্য সৈন্যবাহিনীকে প্রস্তুত করতে  শুরু করলেন।

প্রধানত যেসকল কারণে, (সতীশচন্দ্র মিত্রের মতে) তিনি যুদ্ধ প্রস্তুতি  নিয়েছিলেন, তা হলো-

  • আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রধান্য স্থাপন করা।
  • পাঠানদের পক্ষ সমর্থন করা, যারা মোঘলদের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন।
  •  বঙ্গদেশে হিন্দু শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
  •  শুধু মোঘলদের নয়, মগ ও ফিরিঙ্গি দস্যুদের পাশবিক নির্যাতন থেকে তার  রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করা।

প্রতাপ ধীরে ধীরে তার নতুন রাজধানী গুছিয়ে নিতে লাগলেন এবং তৎকালীন বঙ্গের  অন্যান্য ভূঁইয়াদের সাথে আলাপ করতে লাগলেন যে কিভাবে তারা একত্রিত হয়ে মোঘলদের  দেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারেন। ভূঁইয়াদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতাপের এই বিদ্রোহী  চেতনার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেও অনেকেই দূরত্ব বজায় রাখলেন। এমনকি প্রতাপের একান্ত সহকর্মী হিসেবে পরিচিত বিক্রমাদিত্যের বন্ধু বসন্ত রায়ও এই বিদ্রোহে যোগদান করলেন না। তিনি জানতেন প্রতাপ ও তার দু’একজন মিত্রের মনে যে স্বাধীনতার  চেতনার বিকাশ ঘটেছে তা সমগ্র দেশ না জাগলে বিফলে যাবে। তিনি প্রতাপকে এ বিষয়টি বুঝাতে ব্যর্থ হলেন। প্রতাপ তার উপর মনক্ষুন্নও হয়েছিলেন। বসন্ত রায়  গঙ্গাতীরের রায়গড় দুর্গে স্থানান্তরিত হন এবং যশোরের ৬ আনা অংশের শাসনকার্য করতে থাকেন। এদিকে প্রতাপ ১৫৯৯ সালে মোঘলদের বশ্যতা অস্বীকার করে যশোরের

স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এই স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু বৎসর আগে প্রতাপাদিত্য তার  পিতৃতুল্য বসন্ত  রায়কে আনুমানিক ১৫৯৪-৯৫ সালের দিকে হত্যা করে তার নিজ চরিত্রে  অমোচনীয় কলঙ্ক লেপন করেন।

এই সময় বাংলা ও উড়িষ্যার মোঘল-পাঠান শক্তির মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। প্রতাপ  স্বভাবতই পাঠান শক্তির অনুকূলে ছিল। সেসময় তার মনে ভাটি বাংলায় একটি স্বাধীন রাজ্য সংস্থাপনের আশাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। ১৫৯৯ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি প্রতাপ বাংলার মোঘল সুবেদারকে অমান্য করে রাজ্য শাসন করে যেতে লাগলেন এবং স্বাধীনতা  ঘোষণা করলেন। প্রতাপাদিত্যের সমর সজ্জার উদ্দেশ্য বাংলার সুবাদারের কর্ণগোচর হলে তিনি পর্যায়ক্রমে শের খাঁ এবং ইব্রাহীম খাঁ নামক দুইজন মোঘল সেনাপতিকে প্রতাপের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলেন। কিন্তু তারা  প্রতাপকে সামান্য ভূস্বামী মনে করে যশোহরে আসলো। কিন্তু কোন কার্যকরী ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারল না। তার যশোহর বাহিনীর নিকট পরাজয় স্বীকার করে পশ্চাদপসরণ করল।

ইসলাম খান প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য এক বিশাল বাহিনী সংগঠিত করেন। এ বাহিনীতে ছিল  হাজার বাছাই করা অশ্বারোহী, ৫ হাজার বন্দুকধারী আর ছিলেন মির্যা মক্কী, মির্যা সাইফুদ্দিন, শেখ ইসমাইল ফতেহপুরী, শাহ বেগ খাকসার ও লছমি  রাজপুতের ন্যায় অভিজ্ঞ সেনানায়কেরা। অনুগত জমিদারদের নৌবহর ছাড়াও এ বাহিনীতে ছিল ৩০০ রাজকীয় রণতরী। ইসলাম খানের ভাই গিয়াস খানকে বাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয় এবং রাজকীয় নৌবহর ও গোলন্দাজ বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত হন মির্যা  নাথান। রণকৌশল হিসেবে যুগপৎ প্রতাপাদিত্যের জামাতা বাকলার রাজা রামচন্দ্রের বিরুদ্ধেও এক বাহিনী প্রেরণ করা হয় যাতে বাকলা থেকে যশোর রাজের সপক্ষে কোনো  সামরিক সাহায্য আসতে না পারে।

স্থলবাহিনী নিয়ে গিয়াস খান আলপসিং থেকে রওনা হন। এরপর আলাইপুরের নিকটে পদ্মা  নদী পার হয়ে জেলিঙ্গি ও এর শাখা ভৈরব নদীর তীরপথে অগ্রসর হয়ে পাখওয়ানে শিবির  সন্নিবেশ করেন। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমগ্র বাহিনী  ভৈরব ও ইছামতী নদীপথে যশোর অভিমুখে অগ্রসর হয় এবং অচিরেই যমুনা ও ইছামতীর  সঙ্গমস্থলে সালকা নামক স্থানে পৌঁছে। মুঘল বাহিনীর অগ্রগতি মোকাবেলার জন্য প্রতাপাদিত্য এক শক্তিশালী স্থল ও  নৌবাহিনী সংগঠিত করেন এবং এ বাহিনীর নেতৃত্বে নিয়োজিত করেন দক্ষ ফিরিঙ্গি, আফগান ও পাঠান সেনাপতিদের। স্থল বাহিনীর এক বিশাল অংশ, রণহস্তী, গোলন্দাজ বাহিনী এবং ৫০০ রণতরীর নৌবহরসহ তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র উদয়াদিত্যকে সালকা অভিমুখে  প্রেরণ করেন যাতে তিনি আগেভাগেই সালকায় সামরিক দিক দিয়ে সুবিধাজনক স্থানে  অবস্থান গ্রহণ করতে পারেন। উদয়াদিত্য সালকায় পৌঁছে এমন এক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন যার তিন দিকেই ছিল প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বেষ্টনী। ফলে তার  অবস্থানটি হয়ে উঠে অনেকটা দুর্ভেদ্য। উদয়াদিত্যের প্রধান সহযোগী ছিলেন দু’জন দক্ষ সেনাপতি, জামাল খান ও খাজা কামাল। অশ্বারোহী ও হস্তীবাহিনীর অধিনায়ক  নিয়োজিত হন জামাল খান এবং নৌবাহিনীর দায়িত্ব দেয়া হয় খাজা কামালকে।

মুগল স্থলবাহিনী দুভাগে বিভক্ত হয়ে ইছামতীর দুই তীরপথে উদয়াদিত্যের দুর্গ  অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকে। উদয়াদিত্য অকস্মাৎ শত্রু বাহিনীর উপর প্রবল আক্রমণ পরিচালনা করেন। জামাল খানকে দুর্গরক্ষী বাহিনী ও হস্তীবাহিনীসহ সালকা দুর্গ  প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত রেখে উদয়াদিত্য সমগ্র নৌবহর নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় অগ্রসর হন। তিনি শক্তিশালী নৌবহর ও ভাসমান কামানবাহী রণতরীসহ খাজা কামালকে অগ্রবর্তী বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত করে অন্যান্য নৌবহরসহ স্বয়ং মধ্যবর্তী  অংশের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। যুদ্ধের শুরুতে ব্যাপক সংখ্যাধিক্যের কারণে যশোর  নৌবহর বেশ সাফল্য অর্জন করে এবং মুগল নৌবহরকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলে। মুগলদের অগ্রবর্তী চৌকির ২০টি রণতরী প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়। যশোর নৌবহর যখন

মুগলদের অগ্রবর্তী চৌকির রণতরীগুলোকে প্রায় ঘিরে ফেলতে থাকে ঠিক তখনই ইছামতীর তীর থেকে মুগল তীরন্দাজরা একযোগে তীর ছুড়ে এবং বন্দুকধারী সৈন্যরা গুলি ছুড়ে  যশোর নৌবহরের অগ্রগতি প্রতিহত করে। ঠিক এই সময় মির্জা নাথান তাঁর নৌবহর নিয়ে নদীর পশ্চিম তীর বরাবর এমন তীব্র গতিতে অগ্রসর হন যে, তার নৌবহর যশোর নৌবহরকে  ভেদ করে কার্যত দ্বিধা বিভক্ত করে ফেলে। এতে করে যশোর সেনাপতিদের মধ্যে ভাঙন ধরে এবং বিনষ্ট হয় বাহিনীর ঐক্য ও শৃঙ্খলা।   মুখোমুখি যুদ্ধে  নৌ অধ্যক্ষ খাজা কামাল নিহত হন। উদয়াদিত্য হতাশ হয়ে পড়েন এবং কোনরকমে বন্দিত্ব এড়িয়ে দ্রুত ধুমঘাটে পিতার নিকট পালিয়ে যান। জামাল খান সালকা দুর্গ  ত্যাগ করে হাতীর বহরসহ উদয়াদিত্যের অনুসরণ করেন। প্রতাপাদিত্য কাগরঘাট খাল ও যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে তাঁর নতুন ঘাঁটি থেকে  দ্বিতীয়বার যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। তিনি যুদ্ধের জন্য সুবিধাজনক স্থানে একটি  বৃহৎ দুর্গ নির্মাণ করান এবং সেখানে তাঁর সমুদয় সৈন্য মোতায়েন করেন। মুগলবাহিনী যশোর নৌবহরের উপর আক্রমণ চালিয়ে যুদ্ধের সূচনা করে (জানুয়ারি ১৬১২)এবং মুগলদের প্রবল আক্রমণের মুখে যশোর নৌবহর দুর্গের তলদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য  হয়। কিন্তু যশোর গোলন্দাজদের কামানের ভারী গোলাবর্ষণে মুগল বাহিনীর অগ্রগতি  ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত মুগলদের এক আকস্মিক আক্রমণে যশোর নৌবহর সম্পূর্ণ পরাজিত হয়। মুগল সৈন্যরা অগ্রভাগে হাতির বহর নিয়ে প্রতাপাদিত্যের দুর্গের উপর আক্রমণ চালায়। ফলে প্রতাপাদিত্য দুর্গ পরিত্যাগ করে পশ্চাদপসরণে বাধ্য হন।

দ্বিতীয়বারের পরাজয় স্তব্ধ করে দেয় প্রতাপাদিত্যের ভাগ্যের চাকা। তিনি  কাগরঘাটায় গিয়াস খানের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। গিয়াস খান কড়া পাহারায়  প্রতাপাদিত্যকে সঙ্গে করে ঢাকায় ইসলাম খানের নিকট নিয়ে যান। যশোরের রাজাকে ঢাকায় বন্দী করে রাখা হয় এবং তাঁর রাজ্য মুগল সুবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর পুত্রদেরও সম্ভবত ঢাকায় কারারুদ্ধ রাখা হয় এবং পরে দিল্লিতে পাঠানো হয়। প্রতাপাদিত্যের জীবনের শেষ দিনগুলো সম্পর্কে কোনো প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায় নি। সম্ভবত বন্দি অবস্থায় দিল্লি যাওয়ার পথে বেনারসে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রতাপশালী প্রতাপাদিত্য : ইতিহাসের এক বিস্মৃত মহাবীর, লেখাটির তথ্যসূত্র বাংলাপিডিয়া এবং যশোরের ইতিহাস, লেখক : সারোয়ার আলম খান।
রাজেশ পাল : আইনজীবী,অনলাইন এক্টিভিস্ট, প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কর্মী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত