আব্দুল হাই আল-হাদী

১৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:৩৯

শিশু যৌন নিপীড়ন : অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে

৩ নভেম্বর , ২০১৬। জেএসসি পরীক্ষাথী মাহিন আহমদ মাহিন (১৪) পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। কেন্দ্র হতে বাড়ী ফেরার পথে বখাটে গৃহশিক্ষক মোক্তার হোসেন তাঁর উপর পৈশাচিক হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে।

মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, যৌনতার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিনের উপর এ হামলা করা হয়েছে।  অনুরৃপভাবে, আলোচিত সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। চোর অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হলেও সেটিরও মূল কারণ ছিল বিকৃত যৌনতায় লিপ্ত হতে রাজনের অস্বীকৃতি। রাজন হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু অভিযোগপত্রে যৌন নিপীড়নের ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।  

শুধু মাহিন বা রাজন নয়, অসংখ্য শিশু বিশেষ করে ছেলে শিশু প্রতিদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে  যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোকে  আড়াল করা কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার এক ধরণের চেষ্টা সবার মধ্যে দেখা যায়। শিশু নিপীড়ন বন্ধের জন্য সেটি নিয়ে লুকোচুরি বা অস্বস্থি বোধ না খোলামেলাভাবে যৌন নিপীড়ণের ধরণ, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোকপাত প্রয়োজন।  
বর্তমান পৃথিবীর প্রধান সামাজিক সমস্যাগুলোর অন্যতম হচ্ছে-‌'শিশু নির্যাতন’। শিশুদের উপর এ নির্যাতনের ধরণ ও রুপ বিচিত্র এবং ব্হুমূখী। শিশুদের ঝুকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার, শ্রমের কাজে নিযুক্তি, দাস হিসেবে ব্যবহার- ইত্যাদি খবর প্রায়ই সংবাদপত্রে  প্রকাশিত হয়। এসবের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ও সচেতনতা বেশ গড়ে উঠেছে। কিন্তু শিশু নির্যাতনের যে দিকটি সবচেয়ে মারাত্বক ও ভয়াভহ এবং একই সাথে সমভাবে উপেক্ষিত, তা হচ্ছে- 'যৌন নিপীড়ন’।

আদিম থেকে আধুনিক, বন্যতা থেকে সভ্যতা, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, অনক্ষর-সাক্ষর, উদার-রক্ষণশীল সকল কালে সকল সমাজে এ যৌনবিকৃতি চালু ছিল; আজকেও আছে। আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে, যৌন নিপীড়নের ঘটনা শধু বড়দের মধ্যেই ঘটে থাকে এবং কেবল পুরুষ দ্বারা নারীর উপরই যৌন অত্যাচার হয়ে থাকে। আবার অনেকের ধারণা,কেবল ধর্ষণ ও বলাৎকারই যৌন নিপীড়ন এবং যৌন সন্ত্রাসের শিকার একমাত্র  নারী ও মেয়ে শিশু। কিন্তু গতানুগতিক এ ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং পৃথিবীর ছেলে শিশুরাও কোনভাবেই যৌন সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্ত নয়।
 
আমাদের আরেকটি  প্রচলিত ভুল ধারণা হলো, কেবল ধর্ষণই যৌন নিপীড়ন। তাহলে শিশু যৌন নিপীড়ন কি? শিশু যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞা বিভিন্ন দেশের আইনে কিংবা গবেষণায় বিভিন্ন রকম। খুব সহজভাবে বলা যায়, কোনও ব্যক্তি কর্তৃক কোনও শিশুর প্রতি যেকোনও শারীরিক, মৌখিক বা চাক্ষুষ যৌন আচরন হলো শিশু যৌন নিপীড়ন।দ্য আমেরিকান সাইকোলজিস্টের দেওয়া সংজ্ঞা মতে, এটি এক ধরনের শিশু নিপীড়ন যেখানে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বা নিপীড়নের শিকার শিশুটির চেয়ে বয়সে বড় বা শারিরীক শক্তিতে বলশালী বা শিশুটির উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অথবা যে কেউ যদি নিজের যৌন উত্তেজনার কাজে কোনও শিশুকে যৌনকর্মে অংশগ্রহণের জন্য বা অনুচিত কোনও যৌন আচরণ করার জন্য প্ররোচিত বা বাধ্য কিংবা উৎসাহিত করে সেটিও নিপীড়ন। আর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এর ১০ ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে যে, "যদি কোনও ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌনকামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোনও অঙ্গ বা কোনও বস্তু দ্বারা কোনও শিশুর যৌনাঙ্গ বা অন্য কোনও অঙ্গ স্পর্শ করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন।" আর যৌন নিপীড়নের শাস্তি সবোর্চ্চ ১০ বছরআর সর্বনিম্ন তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড। এর সঙ্গে দোষী ব্যক্তি আথির্ক দন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।

পৃথিবীব্যাপী শিশুরা পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশুশ্রমের জায়গাসহ প্রায় সর্বত্রই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, পৃথিবীতে প্রায় ২০% মেয়েশিশু ও ৮ % ছেলেশিশু কোন না কোনভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আফ্রিকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, সেখানে ৩৪% শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে। অন্যদিকে ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ায় এ হার যথাক্্রমে ৯ , ১০ এবং ২৪ শতাংশ।১০থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরাই সব থেকে বেশি যৌন নির্যাতনের ঝুকির মধ্যে বসবাস করে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩০% শিশুই নিকটাত্বীয় , ৬০% শিশু তাদের পারিবারিক বন্ধু, আয়া বা প্রতিবেশি ইত্যাদি এবং ১০% শিশু অপরিচিতের মাধ্যমে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকে। যদিও অধিকাংশ নির্যাতনই পুরুষদের দ্বারা ঘটে থাকে, কিন্তু প্রায় ১০% ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে মহিলারাও শিশুদের বিশেষ করে ছেলে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনে শামিল হয়েছে।

যদিও শিশু যৌন নিপীড়ের প্রায় সব গবেষণাই কন্যা শিশুকে নিয়ে, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ছেলে শিশুর প্রতি করা যৌন নিপীড়নকে অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই। সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি চারজনের একজন কন্যা শিশু ১৬ বছর বয়সের আগেই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, অপরপক্ষে ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে সে সংখ্যা নূন্যতম প্রতি ১০ জনের একজন।ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএনভি-এর নোট-স্ট্যাটিস্টিক্স অব বাংলাদেশ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে শিশু যৌন নিপীড়নের হার উদ্বেগজনক যার শতকরা হার ২২থেকে ৩৭ এর মধ্যে। প্রতি ১০ জনের নয়জন নিপীড়নের শিকার শিশু তাদের পীড়নকারীকে চেনে বা জানে।এই পীড়নকারী ব্যক্তি সাধারণত শিশুর পরিচিত এবং পারিবারিক বন্ধু কিংবা আত্মীয়, যাদেরকে শিশু ভালোবাসে বা ভরসার আশ্রয় মনে করে।। যার ফলস্বরূপ নিপীড়নেরশিকার শিশু হয়ত পুরো ঘটনাটি কাউকে বলতে পারে না। অনেকসময় সে খুব দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে বা ঘটনার জন্য নিজেকে দোষীমনে করে, ভয় পায় কিংবা ধরে নেয় কেউ তার কথা বিশ্বাস করবে না। পীড়নকারী শিশুটিকে ভয় দেখায় বা বলে সে এই ঘটনা কাউকে বললে শিশুটির পরিবার ভেঙে যাবে।প্রশ্ন জাগতে পারে শিশু যৌন নিপীড়নকারী কে বা কারা? সহজ উত্তর যে কোনও পুরুষ, মহিলা, বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর- কিশোরী বা কোনও শিশু ও অন্য শিশুকে যৌন নির্যাতন করতে পারে। নারীর তুলনায় পুরুষেরা বেশি শিশু যৌন নিপীড়ন করে থাকে।অধিকন্তু, নারী কর্তৃক যৌন পীড়নের ঘটনা প্রকাশ হয় না বললেই চলে এবং অধিকাংশ সময় একে যৌন পীড়ন বলে ধরাই হয় না।

আবার কন্যা শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের ঘটনা অন্য কোনও ব্যক্তিকে অবহিত করার হার অত্যকম।৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ছেলে শিশু তাদের নিপীড়নের কথা প্রকাশ করে না। ছেলেদেরকে হতে হবে শক্তিশালী, সে নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারবে - এ সমস্ত  গতানুগতির ধারণা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ছোটবেলা থেকেই ছেলে শিশুকে শিখিয়ে দেয়।আবার বড়রা সবসময়ই সঠিক, বড়রা কোনও অন্যায় বা ভুল করেনা কখনও তাই বড়দের কথার অবাধ্য না হওয়ার শিক্ষা দেওয়াহয় শিশুদের; যার ফলে যৌন নির্যাতনকারী অনায়াসে পার পেয়ে যায়।

শিশু অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি হলো ’দ্য ইউনাইটেড নেশনসকনভেনশন অন দ্য রাইটস অব দ্য চাইল্ড’ (সিআরসি), যার ৩৪ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে সদস্য দেশগুলো সব প্রকার যৌন নিপীড়ন হতেশিশুদের রক্ষা করার জন্য নীতিগতভাবে বাধ্য। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে সিআরসিতে স্বাক্ষর করে শিশু অধিকার রক্ষার এই চুক্তির সদস্য দেশহয়।আন্তর্জাতিক আইনে ১৮ কম বয়সী যে কেউ শিশু। কিন্তু নারী ও শিশুনির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৬ বছরের কম বয়স্ক যে কেউ শিশু বলে বিবেচিত হবে।

আর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০৩ এর যৌন নিপীড়নের শাস্তি সবোর্চ্চ ১০ বছর আর সর্বনিম্ন তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড। এর সঙ্গে দোষী ব্যক্তি আথির্ক দন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।একই আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও শিশুকে ধর্ষণ করলে তার জন্য শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড আর ধর্ষণের কারণে শিশুর মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি সবোর্চ্চ মৃত্যুদন্ড হতে পারে।আমাদের দেশে শিশু যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে আইন বলতে 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন' আর দেড়শ বছরের পুরানো পেনাল কোড, ১৮৬০ এর কিছু ধারা প্রচলিত।

ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের করা ২০০৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে ৫৩ শতাংশ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, যার প্রতিকারে ২০১২সালে "দ্য প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সচুয়াল অফেন্স অ্যাক্ট" প্রনয়ন করা হয়েছে।আমাদের প্রচলিত সনাতন আইন আর আইনের দুর্বল ব্যাখ্যার দরুণ ছেলে শিশুদের প্রতি ধর্ষণকে শুধুমাত্র যৌন নিপীড়ন হিসাবে দেখা হয়, ধর্ষণ নয়। শিশুর সঙ্গে কোনও শারীরিক সংস্পর্শ বা যৌন কাযর্ক্রম না করলে তাকে যৌন নিপীড়ন বলা হয় না।অথচ, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২০০৩ সালে আলাদাভাবে "সেক্সচুয়াল অফেন্স অ্যাক্ট" প্রবর্তন করছে, এই আইনে কোনও শিশুর উপস্থিতিতে যৌনকর্ম করা বা তা দেখতে শিশুকে বাধ্য করা , এমনকি যৌন পরিচর্যার (গ্রুমিং) জন্য শিশুর সঙ্গে দেখা করাকেও অপরাধ হিসাবে অন্তভূর্ক্ত করেছে।
শিশু থেকে যৌন-আনন্দ লাভের এক বিকৃত কৌশল যা কিনা ’Pedophilia’ নামে পরিচিত; পৃথিবীর সব সমাজে প্রচ্ছন্নভাবে চালু আছে । প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ তাঁর ’ঘেটু পুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রে ’কমলা’  চরিত্রের মাধ্যমে শিশু যৌন নির্যাতনের চিত্র কিছুটা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বাংলার লোক সাহিত্যের এক লুকায়িত দিক ’গাটু গান’ ও ’গাটু নাচ’ নিয়ে রচিত এক প্রবন্ধে আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি- কিভাবে নাচ ও গানের আড়ালে বাংলার জনজীবনে  ‘Pedophilia’  এবং সমকামিতা বিশেষ করে বিকৃত শিশু যৌন নিপীড়ন চালু ছিল। সমাজের চাপে পড়ে একজন সমকামী ব্যক্তি ’Closet Gay’ বা ’নিভৃত সমকামী’ কিভাবে বিসমকামী হয়ে জীবন-যাপন করতে বাধ্য হয়, তারও খানিকটা আলোকপাতের চেষ্টা করেছি। এসব লোকের সংখ্যা বাঙালির মধ্যে মোটেও উপেক্ষার নয়। শিশুর উপর যৌন নিপীড়নের ধরণ ও রুপ বদল হলেও ঘৃণ্য এ আচরণ একটুও কমেনি বরং পাশ্চাত্যের সমকামিতার পৃষ্ঠপোষকদের উৎসাহ ও অর্থায়ানে ক্রমেই তা বেড়ে চলছে।  ঘোমটা পরে খেমটা নাচে অভ্যস্ত বাংলার ভন্ড সমাজে এসব সত্য নিয়ে আলোকপাত করাকে কেউ অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক মনে করতে পারেন  কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে,অন্ধ হলেই  প্রলয় বন্ধ থাকে না ।  সামাজিক ট্যাবু বা লোকলজ্জার ভয়ে সে দিকটাকে আমাদের উপেক্ষার কোন সুযোগ নেই । বিকৃত এ যৌনচারের বলি হয়ে আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়, সেজন্য ব্যাপারটির প্রতি সবার মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতার পাশাপাশি প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ’শিশু নির্যাতন’ ও ’যৌন নিপীড়নের’ ব্যাপারটি আরও সুনির্দিষ্ট করে অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান প্রয়োজন। এব মাধ্যমেই  বন্ধ হবে বিকৃতির এক ঘৃণ্য দিক,শান্তি পাবে নিষ্পাপ রাজনের বিদেহী আত্বা । আমাদের মনে রাখতে হবে, ’অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না’।

আব্দুল হাই আল-হাদী, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত