ডেস্ক রিপোর্ট

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ০০:২০

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১ যুগ পূর্ণ করল ফেসবুক। এক যুগ পেরিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম এই সামাজিক যোগাযোগের সাইটটি এখনো পূর্ণতার পথ খুঁজে ফিরছে।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ফেসবুকের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, ফেসবুক।

২০০৪ সালে হার্ভার্ডের ডরমেটরিতে মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর বন্ধুদের হাতে তৈরি ফেসবুক এখন এক বিস্ময়। প্রযুক্তি-বিশ্বে এখন ১২০ কোটি মানুষের বিশাল এক যোগাযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ফেসবুক।

২০০৪ সালে হার্ভার্ডের ডরমেটরিতে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র অ্যাডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিজ ও ক্রিস হিউজ। ফেসবুকের সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লিগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।

আরও পরে এটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাইস্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

ফেসবুক বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি মানুষকে সামাজিক যোগাযোগের বন্ধনে বেঁধে ফেলেছে এবং দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে ফেলেছে।

ফেসবুকের শুরুর দিকে শুধু তরুণ ও শিক্ষার্থীদের কাছে এটা ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। কিন্তু এখন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ও তাঁদের বয়সের গণ্ডি অতিক্রম করেছে এটি। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফেসবুকে একশো ২৩ কোটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট রয়েছে যার মধ্যে অসংখ্য মানুষ মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন।

একটি কোম্পানি হিসেবেও বড় হয়ে উঠছে ফেসবুক। ২০১২ সালে পাবলিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ফেসবুক। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে আয়ের দিক থেকে বর্তমানে গুগলের পরের অবস্থানেই রয়েছে ফেসবুক। মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকেও ফেসবুকের আয় বাড়ছে।

ফেসবুক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আনছে নিয়মিত। কিনছে বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ফেসবুকের সঙ্গে যুক্তও করছে। ফেসবুকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট ৪৩টি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কিনেছে ফেসবুক যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গোয়ালা, ইনস্টাগ্রাম, লাইটবক্স ‘লিটল আই ল্যাবস’, ব্রাঞ্চ প্রভৃতি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত