২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১২:৩১
ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা
'দেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি' -গ্রাহকদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে উদ্যোগী হয়েছে । একই সঙ্গে গতিও বাড়বে আগের চেয়ে কয়েকগুন।
দেশের ৭০টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ন্যূনতম গতি হবে ১ গিগা। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ সেবা চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের 'সংজ্ঞা' সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যাহার ন্যূনতম গতি হবে ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে গতি কম হইলে তাকে বলা হইবে ন্যারোব্যান্ড ইন্টারনেট।
যদিও ২০১৩ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জারি করা এক নিদের্শনায় নতুন করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়, 'যাহার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) হইবে। ১ এমবিপিএস হইতে কম ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড বলা হইবে।' ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ২০১৩ সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই গতি উপভোগ করছেন। বিটিআরসি একই বছরের এপ্রিলের ১ তারিখে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।
চলতি বছর আবারও ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্টদের ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে ইন্টারনেটের দাম (ব্যবহারের চার্জ) অনেক কমে যাবে। তার সরকার ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার ইন্টারনেটের দামও কমবে। ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক দামে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ এবং ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। একবারে ৪২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ৩০ হাজার টাকা। পরের বছর দাম নির্ধারিত হয় ১৮ হাজার টাকা। ২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১২ হাজার টাকা। ২০১০ সালে দাম কমানো না হলেও এর পরের বছর ২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরে অারও দুই ধাপে দাম কমিয়ে করা হয় যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর সরকার প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি 'টেকনিক্যাল অডিট টিম' গঠন করা হয়েছে। ওই টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে না। তারা প্রতিবেদন দিলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার। শিগগিরই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সুখবর দিতে পারবেন বলে তিনি অাশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আপনার মন্তব্য