সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ২৩:২৮

ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত

দেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবলের বিকল্প সংযোগ হিসেবে চালু তিনটি কেবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এ অবস্থা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি।

যদিও এর আগে জানানো হয়েছিল, ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সাবমেরিন কেবলের বিকল্প সংযোগ হিসেবে চালু ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতীয় একাধিক সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান টাটা কমিউনিকেশন্স ও ভারতী এয়ারটেলের কেবল কাটা পড়েছে। এর বাইরে আরো একটি কেবল অকেজো রয়েছে। এ অঞ্চলের পাঁচটি সাবমেরিন কেবলের মধ্যে তিনটিরই অকেজো হয়ে পড়েছে।

দেশে ব্যান্ডউইডথ চাহিদার ৭৫ শতাংশের বেশি সরবরাহ করছে আইটিসিগুলো। বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস সরবরাহ করে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। আর বাকি ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করছে আইটিসি।

আইএসপিগুলোর কাছে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েগুলো (আইআইজি)। আইআইজি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার (সিএসও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এ সময়ে কিছুটা ধীরগতির সমস্যায় পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। তবে এর চেয়ে বড় সমস্যা হবে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবাদানের ক্ষেত্রে।

আইএসপিএবি জানিয়েছে, ভারতি এয়ারটেলের মালিকানাধীন সাবমেরিন কেবলটি গত ১৩ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কাটা পড়ে। এর পর থেকে সেটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। টাটা টেলি সার্ভিসেসের মালিকানাধীন টাটা ইনডিকম ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর কেবলটি গত বুধবার রাতে কাটা পড়েছে। এছাড়া ইন্ডিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ নামের আরেকটি কেবলও রয়েছে একই অবস্থায়। ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী এসব কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ধীরগতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বাংলাদেশ বর্তমানে একমাত্র সাবমেরিন কেবল সংযোগ হিসেবে এসইএএমইডব্লিউই-৪-এর সঙ্গে যুক্ত। এ কেবলের বাংলাদেশ অংশটির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বিএসসিসিএল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ২০০ জিবিপিএস। ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরুর সময় বিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ছিল ৭ দশমিক ১৩ জিবিপিএস। ২০০৯ সালে এটি বাড়িয়ে ৪৪ দশমিক ৬ জিবিপিএস করা হয়। আর ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি আরো ১৬০ জিবিপিএস বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগ হিসেবে এসইএএমইডব্লিউই-৫ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এসইএএমইডব্লিউই-৫-এর সঙ্গে যুক্ত হলে আরো প্রায় ১ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা যুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটির।

ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন করতে সাবমেরিন কেবলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ২০১২ সালে ছয় প্রতিষ্ঠানকে আইটিসি লাইসেন্স দেয় সরকার। স্থলভাগ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের বিকল্প সংযোগ ব্যবস্থা তৈরি করেছে তারা। ভারতের স্থলভাগ দিয়ে মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে এ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

সূত্রঃ বণিক বার্তা 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত