সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

১১ মার্চ, ২০১৭ ১৬:০৪

‘গ্রেবল সফটওয়্যার’ নিয়ে আবারও সমালোচনায় উবার

ট্যাক্সিসেবার ডিজিটাল রূপের উদাহরণ টানতে উবারের নাম নিতেই হয়। হাতের মুঠোয় ট্যাক্সিসেবা এনে দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষেই ছিল অ্যাপভিত্তিক এই সেবা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রথমে সমর্থন জানিয়ে সেই জনপ্রিয়তা হারিয়েও ছিল। সেই রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও সমালোচনায় এল উবার এবং তাদের গ্রেবল সফটওয়্যার।

বিশ্বের কয়েকটি দেশে উবার নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বোস্টন, প্যারিস, লাসভেগাস শহর এবং চীন, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে উবার চলত সরকারের কিছু বিধিনিষেধ মেনে। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা আর আইন ফাঁকি দিতেই উবার ‘গ্রেবল’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছিল।

গ্রেবল অ্যাপ উবার ব্যবহারকারীর অভ্যাস ও স্মার্টফোনে থাকা তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। ভৌগোলিক অবস্থান এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত কি না, তাও যাচাই করে এই অ্যাপটি। গ্রেবলের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য থেকে উবার চালকদের পর্যবেক্ষণ করছেন এমন কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে। আর সন্দেহভাজন কেউ শনাক্ত হলে অ্যাপটি তাদের বুকিং বাতিল করে দেয়।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে গ্রেবলের গোপন অস্তিত্বের কথা প্রকাশ পায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান এবং সাবেক চারজন উবারকর্মীর বরাতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রেবলের সাফাই গেয়েছে উবার। তাঁরা বলেন, তাঁদের সেবার শর্ত লঙ্ঘনকারী প্রতারক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করতেই গ্রেবল ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া কেউ উবার চালককে শারীরিকভাবে ক্ষতি করছে কি না কিংবা অন্য প্রতিযোগীরা তাদের পদক্ষেপে বাধা দিচ্ছে কি না বা চালককে বিপদে ফেলতে কোনো আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার সঙ্গে মিলিত হচ্ছে কি না, এমন বিষয়গুলোই নজরদারি করে এই গ্রেবল সফটওয়্যার।

তবে গ্রেবলের ব্যবহার কতটুকু আইনানুগ তা নিয়েই এখন আলোচনা-সমালোচনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

আপনার মন্তব্য

আলোচিত