২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:৫৭
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ বেশ পুরনো। এঅভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করার পক্ষে নীতিগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব ও গুগল সার্চ প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক প্রচার করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পর্যায়ে এ বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিধিনিষেধ প্রথমে যুক্তরাজ্যে প্রয়োগ করা হবে। এরপর আস্তে আস্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তবে নির্দিষ্ট ভোটার ডেটাবেইস মিলিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালানোর পরিবর্তে নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ বা স্থান অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ থাকবে।
শুধু তাই নয় বিজ্ঞাপন যদি প্রতারণামূলক হয় তাহলে বিজ্ঞাপনদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে গুগল। এর আগে ১৫ নভেম্বরে একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বিতর্ক এড়াতে তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যা আগামী ২২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ এখনও রেখেছে ফেসবুক।
গুগল অ্যাডস বিভাগের পণ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান স্কট স্পেনসার গতকাল বুধবার এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, তা সীমিত পর্যায়ে থাকবে। তবে সুস্পষ্ট নীতিমালা ভঙ্গ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে এই নীতিমালা প্রয়োগ হবে। যেহেতু কিছু নীতিমালা পরিবর্তন হয়েছে, সেহেতু বিশ্বব্যাপী এই নীতিমালা প্রয়োগ করতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা আশা করছি আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিশ্বব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুগলের ২০১৮ সালের ১১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের খুব অল্প পরিমাণ আসে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন থেকে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে মাত্র ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে খরচ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তথ্য প্রকাশ শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন থেকে গুগল আয় করেছে ১২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে ‘ট্রাম্প মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন কমিটি’। তারা ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার গুগলের বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে।
আপনার মন্তব্য