সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুন, ২০২৪ ১৬:৫১

এক বছরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ

প্রতীকী ছবি

বিশ্বের নানা প্রান্তে বিগত ২০২৩ সালে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে ১২ কোটি মানুষ।

এক বছরে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যা আগের বছর ২০২২ সালের বাস্তুচ্যুতির চেয়ে ৬০ লাখ বেশি। আর জাপানের মোট জনসংখ্যার সমান।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বৃহস্পতিবার ২০২৩ সালের বার্ষিক ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের অধিকাংশই বিদেশে নির্বাসিত শরণার্থী এবং নিজ দেশের মধ্যে বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। আর এদের তিন-চতুর্থাংশই দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক।

ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, অভিবাসীদের এই প্রবাহ শুধু ধনী দেশগুলোরই মাথাব্যথার কারণ নয়। সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন গাজা ও ইউক্রেনে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সুদানে গত বছরের এপ্রিলে প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পর বছরের শেষ দিকে অন্তত এককোটি ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অথচ এ বিষয়টি প্রায় সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

গ্রান্ডি বলেন, তবে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিস্থিতির উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে নতুন আরোপিত আইন আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনের লঙ্ঘন যেন না করে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

এ সময় সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টির সমালোচনা করেছেন ইউএনএইচসিআর প্রধান। অনেকের কাছে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে এটি রাজনৈতিক কৌশল হলেও এই আইনে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

তবে সমালোচনার পাশাপাশি প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টিরও প্রসংশা করেন ইউএনএইচসিআর প্রধান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত