সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০৯:১৫

মিয়ানমারের সেনাদের শাস্তির ভাবনায় ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা সংকটের কারণে মিয়ানমারের উচ্চপদের সেনাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র।

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে সহিংসতা থেকে বাঁচতে  প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক প্রায় এক ডজনের বেশি কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা  মিয়ানমারের উচ্চপদের সেনাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার  বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস এজন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে পারে। রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বাড়ানোরও আলোচনা চলছে।  

এক মাস আগেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আলোচনায় ছিল না জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এতেই প্রমাণিত হয় মিয়ানমারে ঘর-বাড়ি ছেড়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়া পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের কতোটা চাপে ফেলেছে।

তারা বলছেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে, ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এই হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সমালোচনা চললেও অনেক পশ্চিমা কূটনীতিক দেশটিতে তার নেতৃত্বের বিকল্প দেখছেন না।

পাঁচ দশকের বেশি সময় সেনা শাসনে থাকা মিয়ানমারে গত বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সু চির দল এনএলডি সরকার গঠন করলেও এখনও স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে।  

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী ১৬ অক্টোবর মিয়ানমার নিয়ে আলোচনায় বসবেন। তবে এই বৈঠকেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আসবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে দেশ শাসন থেকে সরে আসার পর ২০১২ সালে মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইইউ। তবে নব্বইয়ের দশক থেকে চলে আসা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এখনও রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর থেকে বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রেখেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত