ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৩ মার্চ, ২০১৮ ১৩:১৯

ত্রিপুরায় বামযুগের অবসান

পশ্চিমবঙ্গে পতন ঘটার পরও ত্রিপুরায় লাল পতাকা উড্ডীন রেখেছিলেন মানিক সরকার; এবার বিজেপির কাছে সেই দুর্গ হাতছাড়া হল বামদের। ত্রিপুরায় দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্ষমতা হারালো বামরা, শুরু হচ্ছে বিজেপির শাসন।

শনিবার (১ মার্চ) টানটান উত্তেজনায় ভোট গণনা শুরু হয় ভারতের উত্তর-পূর্বের বাঙালি প্রধান রাজ্যটিতে। সকাল থেকেই আগরতলায় ভিড় জমিয়েছেন শাসক বামফ্রন্ট ও চ্যালেঞ্জার বিজেপির সমর্থকরা।

তবে জমায়েতের বহরে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তো বটেই, বিভিন্ন জেলা থেকে, বিশেষত উপজাতি অঞ্চল থেকে বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক আজ আগরতলায় জড়ো হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৪০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম এগিয়ে রয়েছে ১৭টি আসনে। কংগ্রেস খাতা খুলতে পারছে না বলেই মনে হচ্ছে। ৩১ আসনে জয় পেলেই বিধানসভা গঠন করা যায় এখানে। এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত মানিক সরকারও জনগণের রায়ে পিছিয়ে রয়েছেন।

মোট ৫৯টিতে নির্বাচন হয়েছে। একটি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। সেটিতে পরে নির্বাচন হবে।

ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট প্রথম ক্ষমতায় আসে ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পায় তারা। কিন্তু ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে হেরে যায় বামফ্রন্ট। যদিও পাঁচ বছর ১৯৯৩ সালে ফের ক্ষমতায় ফেরে বামেরা। তারপর থেকেই এই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বামফ্রন্ট। সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনে বামফ্রন্ট ৫০টি আসন পায় আর বাকি ১০টি আসন ছিল কংগ্রেসের।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬০ আসনের বিধানসভায় দিনভর ভোট শেষে বুথফেরত গণনায় সমানে-সমানে লড়াইয়ের আভাস দেওয়া হলেও বাস্তবে বিজেপি তার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।

ত্রিপুরায় মোট বিধানসভা আসন ৬০টি হলেও এবার ভোট হয়েছে ৫৯টি আসনে। চরিলাম আসনে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনটিতে ভোট হবে আগামী ১২ মার্চ।

ভারতের সংবাদ মাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে মোট ভোটার ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৬৮ হাজার ২০ জন নারী ভোটার। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১১ জন ভোটার রয়েছেন। এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮০৩ জন। এবার ভোট পড়েছে ৯১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত