০৭ জুন, ২০১৬ ১৪:০২
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর ডিএনএ পরীক্ষার পুরো প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে সিআইডি ওই প্রতিবেদন মেডিকেল বোর্ডের প্রধানের কাছে হস্তান্তর করে।
ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী ফারুক সিআইড প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিবেদনটি দুপুর দুপুর সাড়ে ১২টায় গ্রহণ করেন। এসময় ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা ও ডা. শারমিন সুলতানা শাম্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ থেকে ওই প্রতিবেদন কুমিল্লায় পাঠানো হয়।
ডিএনএর পুরো প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে দেয়ার জন্য ৫ জুন রোববার সিআইডিকে আদেশ দেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে এ আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএর সাতটি পরীক্ষার প্রতিবেদন মেডিকেল বোর্ডকে দেয়ার কথা সিআইডি’র।
এর আগে গত ২৯ মে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুস্তাইন বিল্লা নিহত তনুর দাঁত ও সোয়াবের ডিএনএ প্রতিবেদন চিকিৎসকদের সরবরাহ করা নির্দেশ নিয়েছিলেন।
আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয় এবং আদালতের নির্দেশেই তনুর পরিহিত কাপড়চোপরসহ ৭টি বিষয়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা বাদল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আদালত সবগুলো ডিএনএ প্রতিবেদন সরবরাহের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রবিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী হাকিম জয়নাব বেগম ডিএনএ'র পুরো প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে দেওয়ার জন্য সিআইডিকে আদেশ দেন।
আদালতের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ডিএনএ'র সাতটি পরীক্ষার প্রতিবেদনই মেডিকেল বোর্ডকে দিল।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে কলেজছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। পরদিন ২১ মার্চ লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এতে মৃত্যুর কারণ ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। পরে ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ওইদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে।
সেই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও প্রকাশের অপেক্ষায়।
আপনার মন্তব্য