সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:১১

পদ্মা সেতুর ২৭০০ মিটার দৃশ্যমান

পদ্মা সেতুর ১৮ তম স্প্যান ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রায় ২ হাজার ৭০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় সেতুর স্প্যান বসানো হয়।

চলতি মাসে আরও ৩টি স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মা সেতুতে ৪১ টি স্প্যান বসাতে হবে। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৮টি স্থাপন করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা জানান, মূল সেতুর ৪২ টি পিয়ার রয়েছে। সেতুর জন্য সবচেয়ে চালেঞ্জিং ছিল পিয়ার-৬ এবং পিয়ার-৭ এর কাজ। পিয়ার-৭ এর কাজ গত মাসে শেষ হয়ে গেছে। পিয়ার -৬ এর পিয়ার ক্যাপ কংক্রিটিং শেষ হয়েছে।

এ পর্যন্ত ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৫ টি পিয়ারের কাজ শতভাগ শেষ। বাকি ৭টি পিয়ার- ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭, ২৯ এবং ৩০ আগামী এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তে রোডওয়ে স্ল্যাব ১০০টি বসে গেছে। প্রায় ৩ হাজার রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা হবে পদ্মা সেতু। নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে হলে দিনে অন্তত ৮ টি করে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারপর পিছিয়ে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন মাসে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। ২০১৫ সালে শুরু হয় নির্মাণ। বর্তমান ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুইপ্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত