সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৯:২২

‘শেখ হাসিনার আশেপাশের রাজাকারদের তালিকা করা উচিত’

ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেছেন, অনেক রাজাকার আছে, যাদের জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সম্মান দিয়েছিল। যেমন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ফারুক। এমনকি আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার আশপাশেও আছে। তাদের নাম বললে আমার আর ঢাকায় আসা হবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোকও আছে। আওয়ামী লীগে কত রাজাকার আছে। বিপদের সময় এরা ভয়ানকভাবে আসে। রাজাকারদের লিস্ট করার আগে এই রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা উচিত।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেন, রাজাকারদের তালিকা করলে দেখা যাবে, রাজাকাররাই সেই তালিকা তৈরি করছে। ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার, রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে। কাদের মোল্লাকে শহীদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাকশালের সময় আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারেনি। কারণ, বাকশাল গঠনের তিন মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। তাই বাকশাল ভালো-মন্দ যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। আমার ধারণা, বাকশাল থাকলে আজকের বাংলাদেশের দুর্নীতি, সন্ত্রাস এত ব্যাপক হতো না। হয়তো এত চাকচিক্যময় রাস্তাঘাটও হতো না।

বর্তমান রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বলেন, আমার ধারণা, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা না হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে। এখানে মৌলবাদী নেতৃত্ব এসে যাবে। আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংবাদিক ও লেখক হারুন হাবিব, সাবেক সচিব নাসিরউদ্দিন আহমেদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত