সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ০৩:১১

৫ জানুয়ারি : রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ চায় আ.লীগ, বিএনপির লক্ষ্য জনসভা

৫ জানুয়ারি রাজধানী দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় বিএনপি। এদিকে আওয়ামী লীগও ওই দিনটিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে উদযাপনের লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে কর্মসূচি পালনে তাদের কোন অনিশ্চয়তা নেই। অপরদিকে, বিএনপিকে বিএনপিকে ডিএমপি’র অনুমতির দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

জানুয়ারি মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক মাঠ গরম হয়ে ওঠতে শুরু করেছে। ২ জানুয়ারি বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দলই ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে পৃথক পৃথক কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিতে আবারও প্রশ্ন জাগছে ফের নাশকতার আশঙ্কা কি সামনে আসছে?

৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ 'গণতন্ত্র রক্ষা দিবস' এবং বিএনপি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে। গত বছর এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের ওপর নেমে এসেছিল চরম অরাজকতা আর নাশকতার মরণ ছোবল। যার বলি হয় দেশের সাধারণ মানুষ। তিন মাসের অবরোধে জনজীবন হয়ে পড়েছিল বিপর্যস্ত। প্রাণ হারায় শতাধিক লোক, পেট্টোলবোমা আর আগুনে দগ্ধ হয় দেড় শতাধিক লোক।

এদিকে, ঢাকায় জনসভা করার লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে এখনো অনুমতি পায়নি বিএনপি।

এ প্রসঙ্গে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আমাদের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার বিকেলে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ডিএমপির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হলেও সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা কিছু বলেননি।’

বিএনপির কর্মসূচি পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। দলটি ওইদিন রাজধানীর ১৮টি পয়েন্টে সমাবেশ, শোভাযাত্রার কর্মসূচি দিয়েছে। একই কর্মসূচি পালিত হবে দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায়ও।

আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর পূরবী সিনেমা হল, শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেট, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী মাঠ, বাড্ডা-রামপুরা পেট্রোল পাম্প, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোড, মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, লালবাগ, গুলশান, সূত্রাপুর, তেজগাঁও, সবুজবাগ-খিলগাঁও, উত্তরা, কামরাঙ্গীর চর, মোহাম্মদপুর টাউন হল, কাফরুল, গুলিস্তান-বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, বনানী-মহাখালী ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।

ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি ২০১৪ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে দেশের সাংবিধানিক ধারা রক্ষা করা, দেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে সময়ের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-জায়ামাত জোট নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল, অবরোধ শুরু করে দেশের জনগণকে জিম্মি করে রাখে। ওই নির্বাচনকে প্রতিহত করার নামে সারাদেশে ২৪৭ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট চেয়েছিল দেশের নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত