সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০২৩ ২০:২৬

দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আ.লীগ লীগ সফল: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। বিচারকের কাছে যখন বিচার চাইতে যায়, সেখানে যখন অবিচার চলতে থাকে তখন তো আর মানুষের কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকে না। সেজন্যেই আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সফলতা কোথায় জানেন? এই রাষ্ট্রকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তারা সবচেয়ে সফল হয়েছে। এটা এখন একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে তারা বিচার ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে, পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা বদলে দিয়েছে, প্রশাসনকে ভেঙে দিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে দিয়েছে, আর আমাদের যে সংবাদমাধ্যম তাকে তারা কব্জা করে ধরেছে বিভিন্নভাবে। যার ফলশ্রুতিতে আজকে মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান দেশের বাইরে রয়েছে। আমাদের অসংখ্য সাংবাদিক এখন বেকার হয়ে আছে, তাদের চাকরি নেই এখন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বৈধ কথা, ন্যায়ের কথা সহ্য করতে পারে না। যা ফ্যাসিস্টের লক্ষণ। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে, রায় ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাকে এক প্রকার নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের ওপর অজস্র অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। এই সরকার ভয়-ভীতি দেখিয়েই টিকে থাকে, এটাই তাদের অস্তিত্বের চাবিকাঠি।

ফখরুল আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা এখন রাজনীতির কথা বলেন। কী দরকার এসব বলার? বলতে চাইলে পোশাক খুলে ফেলুন। কারণ আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। সুতরাং জনগণ তা মেনে নেবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পেশাজীবীদের আন্দোলন আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এ আন্দোলন চলমান থাকুক।

তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে সংগ্রামে নেমেছি। এই জাতির অস্তিত্ব, এই দেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব, দেশের সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব এবং বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের অস্তিত্ব নির্ভর করছে আগামী দিনের সংগ্রামের ওপর। আমরা ইতিমধ্যেই সে সংগ্রাম শুরু করেছি। এক দফা দাবিতে আমরা সংগ্রামে নেমেছি। আমাদের এই সংগ্রামকে বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে প্রান্তের ছড়িয়ে দিতে হবে। যেন কৃষকেরা জেগে উঠে, শ্রমিকেরা জেগে উঠে এবং সবদিকে সবখানে যেন একটা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জায়গা জেগে উঠে।

সভা সঞ্চালনা করেন বিএসপিপির সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে একাংশের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাঈদ খান প্রমুখ।

সামাবেশ শেষে পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে হাইকোর্ট চত্বর ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত