সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ০১:১৮

দুই রাজাকারের রায়কে ঘিরে কোন কর্মসূচি ছিল না গণজাগরণ মঞ্চের

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিতে ছেদ পড়ল তিন বছরপূর্তি ঠিক আগেই।

যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রতিটি রায়ের আগে শাহবাগে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসা গণজাগরণ মঞ্চ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনার রাজাকার কমান্ডার মো. ওবায়দুল হক ওরফে আবু তাহের এবং তার সহযোগী আতাউর রহমান ননীর রায় উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। কেবল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল মঞ্চের কার্যক্রম।  

একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে মঙ্গলবার নেত্রকোনার রাজাকার কমান্ডার মো. ওবায়দুল হক ওরফে আবু তাহের এবং তার সহযোগী আতাউর রহমান ননীকে মৃত্যুদণ্ড অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তবে এদিন শাহবাগে মঞ্চের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। ছিল না তাদের অবস্থানও।

২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় আসার পর তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে ছাত্র-জনতার অবস্থান থেকে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠে।

সে সময় দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে ওই আন্দোলন। তাদের দাবির মুখে আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়।

ওই আবেদনে আপিল বিভাগের রায়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড এবং পরে তা কার্যকর হয়। এরপর থেকে প্রতিটি রায় ঘোষণার আগের রাত থেকে রায় ঘোষণার দিন শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিল গণজাগরণ মঞ্চ।

রাজাকার তাহের-ননীর রায় উপলক্ষে কোন কর্মসূচি পালন না করলেও  আন্দোলনের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত