সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:০৭

পহেলা বৈশাখে কাউকে ইলিশ খেতে নিষেধ করিনি: প্রধানমন্ত্রী

তিনি কাউকে ইলিশ খেতে নিষেধ করেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পহেলা বৈশাখে গণভবনে শেখ হাসিনা বলেন,  "আমি পহেলা বৈশাখ কী খাব বা আমার বাসায় কী রান্না করব শুধু সেই মেন্যুর কথা জানিয়েছি কেবল"।

বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে জাতীয় মাছ ইলিশের প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। তখন প্রধানমন্ত্রী ইলিশ নিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কাটান। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি ইয়াফেস ওসমান শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা তার একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। এ সময় তাকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলিশ মাছ সুস্বাদু, সবাই খাক, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আজকের দিনকে কেন্দ্র করে ইলিশ কেন? আজ অন্তত আমরা ইলিশ খাওয়া বয়কট করি।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাদের অনেক নেতাকর্মী-সমর্থক তো ইলিশ মাছ আগেই কিনে রেখেছে, এখন ওগুলোর কী হবে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি সবার বাসার ফ্রিজে ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ আবার চাঁদপুরের ইলিশ মাছ উপহারও পেয়েছেন। আমি ইলিশ খেতে নিষেধ করিনি, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশ খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায় কিনা তা বলেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৈত্র মাসের শেষ দিন, অথবা ২ বৈশাখ ইলিশ মাছ খান। পহেলা বৈশাখেই কেন ইলিশ খেতে হবে? এটি কি বাঙালি সংস্কৃতির অংশ? এদিন ইলিশ খাওয়া সমাজের তৈরি করা নিয়ম। আসুন আমরা ভেঙে ফেলি সেই নিয়ম।

পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার যে রীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা ভাঙতে আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনের খাদ্য তালিকায় ইলিশের কোনও তরকারি রাখেননি। জানা গেছে, আজ অতিথি আপ্যায়নে গণভবনে দেড়শ জনের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে খাবার ছিল খিচুড়ি, মুরগির মাংস, ডিম ও বেগুন ভাজা। এছাড়া মিষ্টি ও দেশীয় ফলমূল, চা-কফিও ছিল।

সূত্র: বাংলাট্রিভিউন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত