সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৮:৪৮

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, বীর সংগঠক মরহুম আব্দুল হামিদ (মরণোত্তর) ও কৃষক নেতা আব্দুল মালিক এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় জিন্দাবাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পারভেজের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদ ইবনে আজিজ লামা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলার সহকারী কমান্ডার আতিক আহমদ চৌধুরী, মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সহকারী কমান্ডার দিপংকর চক্রবর্তী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমান্ডার মো. কুটি মিয়া, সদর উপজেলা কমান্ডার এরশাদ আলী। বিশেষ অতিথি উপস্থিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার (অব.) রফিক উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দা সালমা ইসলাম, শমসের জামাল।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার সহসভাপতি আব্দুল কাদির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুব কমান্ড সিলেট জেলার সভাপতি শাহীন আহমদ চৌধুরী নয়ন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আহমদ বুলবুল, সহসভাপতি ওয়ালি মাহমুদ, মো. সাদিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির আহমদ, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস আলম বেগ, সদস্য কলি সেন, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক কমান্ড সিলেট জেলার সভাপতি অংশুমান দত্ত অঞ্জন, যুব কমান্ড সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনছুর রহমান, মো. এহছানুল হক এহছান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক রজত রায়, সদস্য মো. জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এয়ারপোর্ট থানার সাবেক সভাপতি কালাম আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রাণেশ দেব, শামীমা বেগম প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, আজকে যে চারজন গুণীদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাদের অবদান কখনো আমরা ভুলতে পারিনা। তাই আমরা চেষ্টা করেছি কিছুটা হলেও উনাদের যথাযথ মূল্যায়ন বা সম্মান দেওয়ার।

তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করার জন্য। আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর তনয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠনের পর থেকে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের সরকারকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী করে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসিয়ে প্রমাণ করবো যে এই স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদী বা দেশবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত এমন কোন দলকে জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী লোক ক্ষমতায় দেখতে চায় না। পাশাপাশি আগামী দিনে দেশকে অপশক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীর হাত থেকে রক্ষা করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী আত্মনির্ভরশীল ও সাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত