স্পোর্টস ডেস্ক

০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:২৭

নারী বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের হার

১০ বছর পর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে চমক দেখায়। নাহিদা-ফাহিমারা দারুণ বোলিংয়ে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১১৮ রানে আটকে দেয়। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশকে টানা দ্বিতীয় জয় পেতে করতে হতো ১১৯ রান। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার তিন অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেনি তারা। ৭ উইকেটে ৯৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ২১ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড।

ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরানো গল্প। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভুগলেও জিততে সমস্যা হয়নি। তবে এবার আর রক্ষা হয়নি, শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে নাগালে পেয়েও হারাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর কিছুটা স্লো ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।

অল্পতে ইংল্যান্ডকে থামিয়ে দেওয়ার পর অনেকের প্রত্যাশা ছিল আগের তিন দেখায় কখনও জয় না পাওয়া বাংলাদেশ হাসিমুখে ম্যাচ শেষ করতে পারবে। কিন্তু শুরুতেই দুই ওপেনার বিদায় নেন। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি দলের হাল ধরেন। কিছুটা স্লো খেললেও দারুণ ব্যাটিং করছিলেন তারা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ৫২ রান জমা হতেই নিগার (১৫) রান আউটের শিকার হন। অধিনায়কের আউটে ৪৪ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙ্গে। এরপর স্বর্ণাও (২) দ্রুত বিদায় নেন।

তবে আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া তাজ নেহারকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সোবহানা। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ২৫ রানের জুটি গড়ে আউট হন নেহার। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৩৬ রানের। বড় রানের এই চাপ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য থেকে অনেক আগেই থামতে হয় তাদের। সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে সোবহানার ব্যাট থেকে। সোবহানা এবং নিগার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি।

বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিতে বল হাতে ভূমিকা রাখেন লিন্সে স্মিথ। ৪ ওভারে ১১ রান খরচায় তার শিকার দুটি উইকেট। এছাড়া চার্লি ডিন ২২ রানে নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সারাহ গ্লেন ও ড্যানি উইয়াট-হজ।

শারজায় টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল ইংল্যান্ডের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রান তোলে তারা। আর এক রান করে ভেঙে যায় এই জুটি। সপ্তম ওভারে রাবেয়া খান মাইয়া বুশিয়ারকে (২৩) নাহিদা আক্তারের ক্যাচ বানান।

পরের ওভারে ফাহিমা খাতুন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টকে (২) এলবিডব্লিউ করেন।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিদার নাইটকে (৬) বোল্ড করেন রিতু মনি। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ওপেনার ড্যানি উইয়াট হজের (৪১) উইকেট নেন নাহিদা আক্তার।

ফাহিমা ও নাহিদা পরে অ্যালিস ক্যাপসি (৯) ও ড্যানিয়েল গিবসনকে (৭) নিজেদের দ্বিতীয় শিকার বানান।

শেষ ওভারে চার্লিস ডিনকে (৪) স্টাম্পিং করে দ্বিতীয় উইকেট নেন রিতু মনি। নেমেই ইনিংসের একমাত্র ছক্কা মারেন সোফি এক্লেসটন। তিনি ৮ ও এমি জোন্স ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ফাহিমা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। সমান উইকেট পান নাহিদা ও রিতু।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত