স্পোর্টস ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০১৬ ০২:০৩

কাঁদতে কাঁদতে মাঠের বাইরে রোনালদো

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ার কথা ছিল গাল বেয়ে, কিন্তু খেলতে পারলেন না পুরো ম্যাচ। ফাইনালের প্রথমার্ধের অর্ধেক সময় খেলে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। কাঁদতে কাঁদতে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার সময়ে হাত দিয়ে লুকাতে চাইলেন বিষাদাশ্রু।

তখন মাত্র ২৪ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছে। আর পারলেন না। মাঠে বসে পড়লেন। হাঁটুতে ইনজুরির মতো মনে হচ্ছিল। আগে মিনিট কয়েক বাইরে ছিলেন। ফিরলেও আর পারলেন না।

নানিকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিলেন। তারপর বসে বসে কষ্টে কাঁদতে থাকলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শেষ হয়ে গেলো তার জন্য! স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে চলে গেলেন তিনবারের বিশ্ব সেরা ফুটবলার রোনালদো। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন রিকার্ডো কোয়েরেজমা।

২০০৪ এর ইউরোর ফাইনাল হেরে ১৯ বছরের রোনালদো কান্নায় ভেঙেছিলেন। এবার কাঁদলেন ফাইনালের প্রথমার্ধেই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার বেদনায়। অথচ সেমিফাইনালে জিতে বলেছিলেন, আনন্দাশ্রু নিয়ে ফাইনাল শেষ করতে চান। হলো না।

প্যারিসের স্তাদ ডি ফ্রান্সে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়ছে ফ্রান্স ও পর্তুগাল। বাংলাদেশ সময় রাত একটার সময় ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক ফ্রান্স। কিন্তু ইউরো কখনো জেতেনি পর্তুগাল। রোনালদোর জন্য এটা হয়তো বড় কোনো শিরোপা জেতার প্রথম সুযোগ ছিল। মাঠে থাকা হলো না।

এই আসরে ৬ গোল করেছেন ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড আন্তোইন গ্রিজমান। ফাইনালের শুরুতে স্তাদ দি ফ্রান্সে ফরাসিদের প্রথম সেরা সুযোগটি তৈরি করেছিলেন তিনিই। বাঁ পাশ থেকে পায়েত বল তুলেছিলেন। ছোটোখাটো গড়নের গ্রিজমানের বিপজ্জনক হেডে বল জালে ঢুকছিল। বাতাসে ভেসে বল বাইরে পাঠিয়েছেন গোলকিপার পাত্রিসিও। কর্নার থেকে তৈরি বলকে অলিভার গিরুদও হেডে জালে পাঠাতে চেষ্টা করেছিলেন। বাধা হয়েছেন পাত্রিসিও।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে আঘাত পেয়ে মিনিট কয়েকের জন্য মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। পায়েতের একটি নিয়মিত ট্যাকলে পড়ে গিয়েছিলেন। ব্যথা পান হাঁটুতে। রোনালদো আবার ফিরলেও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি পর্তুগালের প্রধান ভরসা।

ফ্রান্স সেমিফাইনালের দলই রেখেছে। একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি। তবে পর্তুগাল দরে দুটি পরিবর্তন এসেছে। ওয়েলসের বিপক্ষে অভিজ্ঞ পেপে ছিলেন না। ফিরেছেন একাদশে। অ্যাঙ্কর ম্যান ইউলিয়াম কারভালহোও ফিরেছেন।

ইউরো ফাইনালে দুই দলের একাদশ:
পর্তুগাল : পাত্রিসিও, পেপে, ফন্তে, সেদ্রিক, গুরেইরো, কারভালহো, সাঞ্চেজ, মারিও, সিলভা, নানি, রোনালদো।
ফ্রান্স : লরিস, কসিয়েনলি, সাগনা, আমতিতি, এভরা, মাতুইদি, পগবা, সিসোকো, গ্রিজমান, পায়েত, গিরুদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত