স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১৫:৩৬

খেলোয়াড়দের বুকডন দেয়া নিয়ে সমালোচনা পাকিস্তানে!

ঘটনা সেই জুলাই মাসের। তখন বিষয়টিতে সবাই বেশ মজাই পেয়েছিলেন। বাহবাও দিয়েছিলেন।

কিন্তু উটকো বিতর্ক শুরু করায় যেহেতু পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের জুড়ি নেই, এত দিন পরে এসে এ নিয়ে শুরু হলো নতুন শোরগোল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জেতার পর মিসবাহ-ইউনুসের নেতৃত্বে পুরো পাকিস্তান দল যে বুকডন দিয়েছিল; এ কারণে নাকি এখন তাদের শাস্তি দেওয়া হবে!

শাস্তির গুঞ্জনটা এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছিল, খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নজম শেঠিকে টুইট করে নাকচ করে দিতে হলো। শেঠি লিখেছেন, ‘ওই বুকডনের জন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। বরং আমার তো মনে হয় খেলোয়াড়েরা সেঞ্চুরি করলে ১০০টি করে বুকডন দেওয়া উচিত।’

গত ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছিল মিসবাহ-উল হকের দল। মিসবাহ নিজে সেঞ্চুরির পর বুকডন দিয়ে স্যালুট পর্যন্ত ঠুকেছিলেন। এরপর জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ডে আসার আগে অ্যাবোটাবাদে সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল তাদের। যেহেতু দলের মধ্যে তিনি আর ইউনুস খান সবচেয়ে বুড়ো, তাঁদের ফিটনেস নিয়ে কম খোঁচা খেতে হয়নি। মিসবাহ কথা দিয়েছিলেন, সেঞ্চুরি করলে বুকডন দেবেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান টেস্ট জেতার পর ইউনুসের নেতৃত্বে পুরো দল বুকডন দিয়ে উদযাপন করে। যেটি ক্রিকেট–বিশ্বে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এ তো অভিনব উদযাপন! মিসবাহ তখন জানিয়েছিলেন, দেশের প্রতি সামরিক বাহিনীদের যে নিবেদন, তাঁরা এটিকে এভাবেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

অতি সাধারণ বিষয়টি নিয়েও জলঘোলা হলো পাকিস্তানে। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রশ্ন তুলেছে, এভাবে উদযাপন করে বার্তা দেওয়ার দায়িত্ব মিসবাহদের কে দিয়েছে? দলটির নেতা চৌধুরী নাজির আহমেদও মিসবাহদের এই বুকডনের কড়া সমালোচনা করেছেন।

পিসিবি​র প্রধান নজম শেঠি স্পষ্টতই এ ধরনের কথাবার্তায় বিরক্ত। তিনি সবকিছুর সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, খেলোয়াড়েরা স্রেফ উদযাপন করেছেন। এর আগে-পিছে কিছু নেই।
সূত্র: পিটিআই

আপনার মন্তব্য

আলোচিত