স্পোর্টস ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০৮:৫১

য়ুভেন্টাসের কাছে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা

আর্জেন্টাইন তরুণ তারকা পাওলো দিবালার দুই গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করেছে য়ুভেন্টাস।

তবে এখনো বার্সার বিদায় ঘণ্টা বাজেনি। তবে ফিরতি পর্বে ন্যু ক্যাম্পে পাহাড় ডিঙিয়েই ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ের শেষ চারে খেলতে হবে লুইস এনরিকে আর লিওনেল মেসির দলকে। ম্যাচটা কেবল জিতলেই চলবে না। ব্যবধানটা রাখতে হবে ৪ গোলের।

দিবালার দুই গোলের পাশাপাশি অন্য গোল করেছেন জর্জো কিয়েলিনি।

ম্যাচের ৭ মিনিটেই দিবালা গোল করে য়ুভেন্টাসকে দুর্দান্ত এক শুরু এনে দেওয়ার পর ২২ মিনিটে আবারও দিবালার আঘাত।

প্রথমার্ধ ২-০ ব্যবধানে শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই (৫৫ মিনিটে) কিয়েলিনির গোল ম্যাচটাকে নিয়ে যায় বার্সেলোনার কাছ থেকে অনেকটাই দূরে। পরে দুর্ভেদ্য রক্ষণ সাজিয়ে মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ সামলে দিন শেষে বিজয়ীর হাসি য়ুভেন্টাসেরই।

সার্জিও বুসকেটসকে ছাড়া মাঠে নামা বার্সা নিজেদের ঠিকমতো গুছিয়ে ওঠার আগেই গোল করে বসেন দিবালা। ম্যাচের তখন সবে ৬ মিনিট গড়িয়েছে য়ুভেন্টাসের হুয়ান কুদ্রাদো ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে এক পা-দুই পা করে ঢুকে পড়েন বার্সেলোনার বক্সে। ঢুকেই বল বাড়ান দিবালাকে। ডান পা দিয়ে বল ধরে নিজের শরীরটাকে ঘুরিয়ে চকিত এক শটে তিনি হতভম্ব করে দেন বার্সেলোনার গোলকিপার আন্দ্রে টের স্টেগানকে।

ম্যাচের ২২ মিনিটে আবারও দিবালা-জাদু। এবার মারিও মানজুকিচের বাম প্রান্ত থেকে একটু পেছনের দিকে দেওয়া ক্রসটি ধরেই গোলপোস্টের বাম কোনা দিয়ে জালে বল পাঠান দিবালা।

ম্যাচের শুরুর ৩০ মিনিট স্বপ্নের মতো ফুটবলই খেলেছে য়ুভেন্টাস। ৫০-৫০ বলগুলোর বেশির ভাগই জিতেছে তারা। দিবালা ছাড়াও আরেক আর্জেন্টাইন গঞ্জালো হিগুয়েইনও বারবার ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন বার্সার রক্ষণকে। লুইস এনরিকের ৩-৪-৩ ফরমেশনটা য়ুভেন্টাসের ফরোয়ার্ডদের রুখতে যে যথেষ্ট ছিল না, সেটি প্রমাণ হয়ে যায় বার্সার দুই গোলে পিছিয়ে পড়াতেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেইমারের একটি প্রচেষ্টা দুর্দান্ত ডাইভে নস্যাৎ করেন বনুচ্চি। ফিরতি বলে মেসি শট নিয়েছিলেন বটে, কিন্তু সেটা পিজানিকের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ৫৪ মিনিটে হিগুয়েইন বলটা দিবালাকে বাড়াতেই পারতেন। অফসাইড ট্র্যাপ এড়িয়ে বল নিয়ে বেরিয়ে তিনি বলটি মেরে দেন বার্সা গোলকিপার টের স্টেগানের শরীরে।

৫৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে য়ুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন কিয়েলিনি। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে তার দ্বিতীয় গোল। ২০০৯ সালের পর ইউরোপের এই ক্লাব প্রতিযোগিতায় গোল পেলেন এই ইতালীয় রক্ষণ সেনা।

গত শনিবার মালাগার কাছে লা লিগার ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বার্সা। মালাগার মাঠে দুর্বল পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই রক্ষা করল বার্সা তুরিনে এসেও। লা লিগার মতোই চ্যাম্পিয়নস লিগও তাতে অনিশ্চিত বার্সার। লিগের মতোই ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ে অন্ধকার দেখা শুরু করেছে তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত