ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২২:২৩

যুব ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল স্নায়ুর কঠিন পরীক্ষাই নিল বাংলাদেশ ও ভারতের যুবাদের। যে পরীক্ষায় জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল বাংলাদেশ। রোববার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরার মুকুট পরল বাংলাদেশ।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভারে ৭ উইকেট ১৬৩ রান করে বাংলাদেশ। তখনই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি নামার আগে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫৪ বলে ১৫ রান। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের জন্য ৩০ বলে ৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। বাংলাদেশ ৭ রান করতে খেলে ৭ বল।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকর আলী ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪৭ রান করেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাকিবুল। ভারতীয় স্পিনার বিশোনি ৪ উইকেট শিকার করেন।

ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিড-উইকেটে কার্তিকের হাতে ক্যাচ হন তানজিদ। ওপেনিং জুটি ভাঙতেই বিপদে পড়ে যায় টাইগার যুবারা। পরের ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন।

সেমিফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয় ফিরে যান ব্যক্তিগত ৮ রানে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় রানের খাতায় খুলতে পারেননি। ১৫তম ওভারে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দলীয় ৬৫ রানে স্ট্যাম্পিং হন শাহাদাৎ হোসেন। ১০ বল খেলে তার সংগ্রহ ১ রান।

উইকেট পড়লেও আশা ছিল কেউ না কেউ হাল ধরবেন। কিন্তু তেমন কাউকে দেখা গেল না। শামীম হোসেনের ব্যাটিংয়ে সুনাম থাকলেও ১৮ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দলীয় ১০৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে গেলে আকবর আলীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়া ইমন।

এই জুটি দাঁতে দাঁত কামড়ে লড়াই করে যাচ্ছিল। ইমন খোঁড়া পা নিয়ে দেশের জন্য লড়ে যাচ্ছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন স্বপ্নজয়ের পথে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ৩২তম ওভারে। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে আকাশ সিংয়ের হাতে ক্যাচ হন তিনি। পরে আকবর আলী ও রাকিবুলের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। যার ফলে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ব্যাট করতে নামার পর বাংলাদেশের বোলার অভিষেক দাস শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ভারতের ওপেনার সাক্সেনাকে। এরপর জাসওয়াল এবং তিলক ভার্মা মিলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন।

এই জুটিতে ভাঙন ধরান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর শরিফুল ইসলাম অ্যাকশনে এসে ফিরিয়ে দেন ৮৮ রান করা জাসওয়ালকে। পরের বলেই তিনি তুলে নেন আরেক ব্যাটসম্যান, সিদ্ধেস ভিরকে।

পরপর দুটি রানআউট এবং অভিষেক দাসের আবারও অন অ্যাকশনে এসে ভারতকে চেপে ধরার পরই তারা অলআউট হয়ে যায় ১৭৭ রানে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত