স্পোর্টস ডেস্ক

২২ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১২:৩৩

লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এক উইকেট

১ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করল জিম্বাবুয়ে। দিনের এখনো অনেকটাই বাকি। কিন্তু প্রথম সেশন যে এগিয়ে থেকে শেষ করল সফরকারীরা, এ নিয়ে কারও মনে সন্দেহ নেই।

দুই পেসার আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেনের দারুণ প্রথম স্পেলের পর তাইজুল-নাঈমের সামনে সুযোগ ছিল জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরার। প্রিন্স মাসভোরে ও কেভিন কাসুজার অতিরক্ষণাত্মক মনোভাব সে সুযোগ এনে দিয়েছিল। কিন্তু আরভিনের উদ্ভাবনী চিন্তা ও সাহসী ব্যাটিং সঙ্গী মাসভোরেকেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। সেশনের শেষ দিকে আরভিনকেই ছাপিয়ে গেছেন। ৭টি চারে ৪৫ রানে অপরাজিত ওপেনার। আর অধিনায়ক আরভিন আছেন ২৬ রানে।

প্রথম সেশনেই ১১ চার এসেছে। খুব বেশি বা খুব কম—কোনোটিই বলা যাচ্ছে না। জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের ব্যাটিংটাও যে তেমনই ছিল। প্রথমে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সহ্য করে নিয়ে ধীরে ধীরে উইকেটে জমে গেছেন তারা। স্ট্রাইক বদলেছেন, আবার সুযোগ সৃষ্টি করে চার বের করে নিয়েছেন। বেশ কয়েকবার ভাগ্য সহায়তা করেছে আরভিনকে। মাসভোরেও দু-একবার ভাগ্যদেবীকে ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু প্রথম দিনের উইকেটে দাগ কাটার মতো বোলিং বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঘণ্টায় করতে পারেনি।

অথচ বাংলাদেশের শুরুটা ছিল প্রায় অবিশ্বাস্য। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া জিম্বাবুয়ে প্রথম ৬ ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম রানের দেখা মিলল, সেটাও লেগ বাই থেকে। সপ্তম ওভারে প্রথম ব্যাট থেকে রান এসেছে, সেটা বাউন্ডারি থেকে।। এরপরও ৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রানের ঘরে মাত্র ৭। উইকেটের ঘরেও দাগ কাটা হয়ে গেছে। কাসুজাকে (২) গালিতে নাঈমের ক্যাচ বানিয়েছেন আবু জায়েদ। ১১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান রেট ছিল ০.৮। সেই জিম্বাবুয়েই পরের ১৯ ওভারে নিয়েছে ৭১ রান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত