স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৬:০৯

অর্ধশতক করে ফিরে গেলেন লিটন

একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনে মিরপুর হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করে ফিরে গেছেন লিটন দাস। ৯৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করেন তিনি।

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫৪০ রান। টাইগারদের লিড ২৬৭ রানের। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম (১৯৩)। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম।

৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও থেমে থাকেননি। ব্যাট চালাতে থাকেন শতকের দিকে।

রানের তুবড়ি ছুটিয়ে ইনিংসের ৮৩তম ওভারে ত্রিপানোর করা তৃতীয় বলটিকে চারে পরিণত করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম শতক। তার ক্যারিয়ারের ৯টি সেঞ্চুরির সবগুলোই দেশের মাটিতে। এর ভেতর ৬টি শতকই তিনি হাঁকিয়েছেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আর বাকি ৩টি মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি মুমিনুলের তৃতীয় শতক।

এরপর মুশফিকও হাঁটলেন দলপতির দেখানো পথে। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এনডিলোভুকে অফ সাইডে চার মেরে তুলে নেন দুর্দান্ত শতক। ক্যারিয়ারে এটি মুশির সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রায় দেড় বছর পর শতকের দেখা পেলেন মি. ডিপেন্ডেবল।

শেষবার ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তিনি খেলেছিলেন ২১৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ম্যাচ হিসেবে ছয় আর ইনিংসের হিসেবে ১১ ইনিংস পর পেলেন শতকের দেখা।

সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন মুশি। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে বড় লিডের ইঙ্গিত দিতে থাকেন সফররত রোডেশিয়ানদের। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন এনডিলোভু। মুমিনুল হককে (১৩২) ফিরিয়ে ভাঙেন বাংলাদেশের ২২২ রানের চতুর্থ উইকেটের জুটি।

বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন মিঠুনও। এনডিলোভুর তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফিরে যান মিঠুন। আউট হওয়ার আগে নামের পাশে যুক্ত করতে পারেন মাত্র ১৭ রান।

তবে উইকেট কামড়ে থাকেন মুশফিকুর রহিম। শতক হাকানর পর চোখ থাকে ১৫০ রানের দিকে। ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০ রানের ইনিংসও। তবে সেখানেই কমেনি মুশির ক্ষুধা। তখন বাজের মতো চোখটা চলে যায় ডাবলের দিকে।

এর আগে রোডেশিয়ানদের ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে টেস্ট খেলতে নেমেছেন সে কথা যেন বেমালুম ভুলে গিয়েছেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাইফ হাসান। ব্যাট করতে থাকেন পুরো ক্রিকেটের রঙিন ফরম্যাটের মতোই। ফলে যা হবার তাই হলো।

দলীয় ১৮ রানে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন সাইফ হাসান। পাকিস্তানের সাথে ব্যর্থতার পর তারই ধারবাহিকতা বজার রেখে এই জিম্বাবুয়ে টেস্টেও ফিরলেন মাত্র ৮ রান করে।

এরপর উইকেটে আসেন নাজমুল শান্ত। টেস্ট মেজাজ হারিয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে সমান তালে চালাতে থাকেন ব্যাট। সেই সাথে দুই জনে মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশের ইনিংসকে।

দল যখনই ভরসা দেখছিল এই জুটির ওপর ঠিক তখনই সব আশাকে হতাশায় পরিণত করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম (৪১)। ত্রিপানোর বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে অর্ধশতক থেকে ৯ রান দূরে থাকতেই থামে এই ওপেনারের ইনিংস।

কিন্তু উইকেট আগলে ধরে বসে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা। আর পথিমধ্যে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক।

তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন শান্ত। যেখানে অর্ধশতক তুলে নিতে খেলেছিলেন ১০৮ বল সেখানে পরের ৩১ বলে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ২১ রান। আর এর মাশুল দিতে হয়েছে ৭১ রানে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। তামিম ফেরার পর মুমিনুলের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকও কিন্তু এরপর চার্লটন শুমার বলে চাকাবাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দলীয় ১৭২ রানে।

শেষ দিকে অবশ্য অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গী করে দিন কাটিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই সংগ্রহ করেন ৬২ রান। সফরকারীদের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন চার্লটন শুমা, ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ভিক্টর নায়াউচি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত