ছাতক প্রতিনিধি

১৭ জুন, ২০২০ ২১:৩৫

ছাতকে বকেয়া বেতনের দাবিতে নিটল কার্টিজ মিলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জের ছাতকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নিটল কার্টিজ মিলের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শ্রমিকরা। বুধবার (১৭জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারাখানা সচল রেখে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, নিটল-নিলয় গ্রুপের মালিকানাধীন নিটল কার্টিজ মিলে প্রায় ৩শ’ শ্রমিক কাজ করছেন। গত এপ্রিল থেকে শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন না। বেতন না পাওয়ায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। মঙ্গলবার কর্মরত আংশিক শ্রমিকদের মোবাইল ম্যাসেজে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের মাঝে আরো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তাদের দাবি কারখানা সচল থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তারা কোন কারণ ছাড়াই তাদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়াতে গত ৩ মাস ধরে ধার-দেনা করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বেতন চাইতে গেলে মিলের সহকারী ম্যানেজার (কোয়ালিটি-কন্ট্রোল) জহিরুল ইসলামের অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। এরফলে বকেয়া বেতন প্রদান এবং সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

এ ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষে কাওসার আহমদ, আবুল হাসেম, রিপন মিয়া, এনামুল হক, আনোয়ার হোসেন, মিলন মিয়া, ইব্রাহিম আলী, আব্দুল খালেক, বিল্লাল আহমদ, রাশেদ মিয়া জানান, বকেয়া বেতন বা শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলা হলেই সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম শ্রমিকদের সাথে অশালীন আচরন করে থাকেন। বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ চাকুরীচ্যুত করার হুমকীও দিয়ে থাকেন এ কর্মকর্তা। কারখানা সচল রেখে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।

কারখানার ডিজিএম আমিরুল ইসলাম ও এডিজিএম জহিরুল ইসলাম জানান, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারনে কারখানার ৩৫ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আটকে আছে। বিক্রিত প্রোডাক্টের টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারনে শ্রমিকদের বেতন দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। ১৫ দিনের বেতন পরিশোধের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, কেন্দ্রিয় অফিসের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত