নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০২০ ১৫:৩৬

‘কামরান চত্বর’ বিষয়ে ‘অবগত নন’ আরিফ

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহিত

বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নগরীর সিটি পয়েন্ট এলাকাকে ‘কামরান চত্বর’ হিসেবে নামকরণ করা হচ্ছে- এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই এ তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেন এবং সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।

তবে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না সে ব্যাপারেও তিনি অবগত নন বলে জানান। তবে কামরানসহ সিলেট সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় অতীতে যারা মেয়র ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের স্মৃতিরক্ষায় উদ্যােগ নেওয়ার পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের রয়েছে বলেও জানান মেয়র।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার (১৫ জুন) ভোর ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

বিজ্ঞাপন



জনপ্রিয় ও সজ্জ্বন এই নেতার মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান পুরো সিলেট। শোকাহত দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে কামরানের স্মৃতিরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। এমন দাবির মধ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে নগরীর সিটি পয়েন্ট এলাকাকে 'কামরান চত্বর' হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। সিটি পয়েন্টে নির্মাণাধীন ট্রাফিক আইল্যান্ডের ছবি যুক্ত করেও এমন প্রচারণা চালান অনেকে।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুক্রবার সিলেটটুডে টোয়েোন্টিফোরকে বলেন, সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুর পরপরই তার বাসায় গিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, উনার স্মৃতিরক্ষায় আমরা সিটি করপোরেশন থেকে উদ্যোগ নেবো। কেবল তিনি নন, অতীতে আ ফ ম কামালসহ যারাই এই শহরবাসীর সেবায় দায়িত্বপালন করেছেন তাদের সকলের স্মৃতিরক্ষার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে ফেসবুকে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা সত্য নয়।

মেয়র বলেন, কোনো স্থাপনা বা চত্বরকে নামকরণ করার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় এটি পাশ করাতে হয়। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ সভা করাই সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমি আশা করছি, পরবর্তী সাধারণ সভায় উনাদের স্মৃতিরক্ষার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত