সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০২১ ২২:২২

ঝড়ে ঢাকার বিমান সিলেটে

ফাইল ছবি

ঝড়ের কবলে পড়েছে ঢাকাগামী বিমানের একটি ফ্লাইট সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে উড্ডয়ন করা ওই ফ্লাইটটি ঝড়ের কবলে পড়ে। পরে সিলেটে জরুরী অবতরণ করে।

শনিবার বিকেলে ঢাকায় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি হয়।

বিমানের ওই ফ্লাইট ছাড়াও ঝড়ের কারণে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ও নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ৩৫ মিনিট আকাশে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। এছাড়া বিমানের কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ফ্লাইট চট্টগ্রামে এবং ইউএস বাংলার দোহা থেকে ঢাকামুখী ফ্লাইট চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। পরে ঝড় কমে গেলে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় ফিরে আসে।

এরআগে গত ৬ মার্চ রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে ঢাকা থেকে সিলেটমূখী নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট। ওইদিন ফ্লাইটটি নিরাপদে সিলেট পৌঁছতে পারলেও উড্ডয়নরত অবস্থায় ব্যাপক ঝাকুনিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিলো।

শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘শনিবার বিকেলে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ওই সময় উড়ার অপেক্ষায় থাকা চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ সময় বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ নটিক্যাল মাইল।

‘একই সময় ঢাকার আকাশে থাকা বিমান বাংলাদেশ, এমিরেটস ও নভো এয়ারের তিনটি ফ্লাইটকে ঝুঁকি বিবেচনায় অবতরণের অনুমতি দেয়া যায়নি। পৌনে ছয়টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লাইট ওঠা-নামা স্বাভাবিক হয়।’

সাধারণত বৈরী আবহাওয়ায় পাইলট খালি চোখে রানওয়ে দেখতে না পারলে নিরাপদ অবতরণের জন্য বিমানবন্দরগুলোতে ব্যবহার করা হয় ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)। এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলটকে এক ধরনের বেতার তরঙ্গ পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহজেই রানওয়ের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেন পাইলট।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার।

বৈরি আবহাওয়ায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা নেমে আসলে পুরোনো আইএলএস দিয়ে ফ্লাইট ওঠানামা করানো প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত