নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৪৪

লকডাউনে রাতের বেলায় টিসিবির পণ্য বিক্রি!

সারা দেশের ন্যায় সিলেটে চলছে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন। লকডাউনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ থাকলেও সিলেটে রাতের বেলায় পণ্য বিক্রি করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ট্রাকসেল।

সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। এইসময় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন ছিল।পণ্য কেনার সময় কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

বন্দরবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির ট্রাকসেল থেকে পণ্যকিনতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারা পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে নির্দেশনা ছিলো সেটিও কেউ মানছেন না।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় রমজান মাস উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর কার্যক্রম চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়। সিলেট বিভাগের চার জেলায় ২৭ টি পয়েন্টে প্রতিদিন ট্রাকসেলে টিসিবি পণ্য তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে।

আর সিলেট নগরের ৮টি পয়েন্টে প্রতিদিন ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচেছ। নগরের মদিনা মার্কেট, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, রিকাবীবাজার, টিলাগড় পয়েন্ট, আম্বরখানা পয়েন্ট, রেজিস্টারি মাঠ, বাগবাড়ি পিডিবি ও শাহী ইদগাহ টিসিবির ট্রাকসেলে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মকবুল হোসেন বলেন, টিসিবির বিক্রেতারা সকলের সাহায্য করছেন। এত রাতেও তারা এসব পণ্য বিক্রি করছেন। আমরা নিতে পারছি।

আরেক ক্রেতা জলি বেগম বলেন, তারা রাতে ইসব পণ্য দিয়া গরিবের উপকার কররা। লকডাউন মানলে তো না খাইয়া মরা লাগবো।

এদিকে, টিসিবির ট্রাকসেলের বিক্রেতার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি তা বলতে রাজি হননি। এত রাতে পণ্য বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, দিনের বেলাতে নগরের অন্যত্র গিয়েছিলেন পণ্য বিক্রি করতে। সেখানে পণ্য সব বিক্রি করতে পারেনিনি। যার জন্য রাতের বেলাতে বন্দরবাজারে এসে পণ্য বিক্রি করছেন।

এই ব্যাপারে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার শেরপুর টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ মো. ইসমাইল মজুমদারকে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার(গণমাধ্যম)বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, এই বিষয়টি আমাদের জানা ছিলো না। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।

সিলেট বিভাগে ১৬১ জন টিসিবি ডিলার রয়েছেন। তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ২৭জন ডিলার ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছেন। তবে, পণ্য মজুদের উপর ভিত্তি করে ট্রাকসেল বাড়ানো বা কমানো হতে পারে। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, ৮ হাজার টন ছোলা, ৬ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত