তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৫৯

মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রণয়ের পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হত দরিদ্র পরিবারে ছেলে প্রণয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।

তিনি বুধবার দুপুরের উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে প্রণয় বর্মণ ও তার বাবা নারায়ণ চন্দ্র বর্মণের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেন।

এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তাকে আশ্বাস প্রদান করেন বলেন, তার সাথে তিনিসহ উপজেলা পরিষদ আছে সব সময় তার পাশে থাকবেন। প্রণয় তাহিরপুর উপজেলার গৌরব। স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজে সে তাহিরপুর উপজেলার প্রতিনিধিত্ব করবে। তার আর পিছনে তাকানোর সময় নেই। তাকে তার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। আমার বিশ্বাস প্রণয় তা পারবে।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমাদের সময় জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান তারা, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বিপক, মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক আলম জিলানী সোহেল,সদস্য সচিব আজিজুল হক,যুবলীগ নেতা মিল্লাদ, ছাত্রলীগ সভাপতি আবুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলাকাটি গ্রামের পাথর শ্রমিক মনি বর্মণ ও মৎস্যজীবী নারায়ণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে প্রণয় বর্মণ।
প্রণয় বর্মণ এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৪৩৬ নম্বরে স্থান পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। অভাব আর অনটনের সংসারে ছেলে প্রণয় বর্মণের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সবাই। তবে ছেলের মেডিকেলে পড়ার খরচ নিয়ে চিন্তিত মনি বর্মণ ও নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ। প্রণয় বর্মণের মা ও বাবার ঘাম ঝরানো শ্রমে জীবিকা চলে ৪ জনের সংসারের। চলে ছেলের পড়াশুনার খরচও। বড় মেয়েটির বিয়ে দিয়েছেন। প্রণয় ও তার এক ভাই সংসার চলে এখন কোন রকমে। জোড়াতালি দিয়ে চলেছিল তাদের লেখাপড়াও। তবে প্রণয়ের এই স্বপ্ন জয়ের পথে বাধা এখন অর্থের। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সাহায্যের হাত বাড়ান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত