সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩০

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে’ সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিশাল র‍্যালি

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে র‍্যালিটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে নিদারুণ দুঃসময়ে দেশপ্রেমিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেভাবেই জাতীয় সংকটের মুহূর্তে তিনি জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না -এদেশ পার্শ্ববর্তী শক্তির সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।”

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের আহ্বান জানায়—সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “আঙুল বাঁকা করার ভয় দেখানো হচ্ছে-আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা সেই আঙুল ভেঙে দেব। অতীতেও এমন বহু ভয় দেখানো হয়েছিল, কিন্তু বিএনপি কখনও পিছু হটেনি, ভয় পায়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট জেলার ছয়টি আসনসহ বিভাগের ১৯টি আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিজয়ের উপহার দেব, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “৭ নভেম্বর একদলীয় স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র, জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি রচনা করেছিল। আজও সেই বিপ্লবের চেতনা আমাদের স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও জাতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রেরণা যোগায়।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম. এ. মালেক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। বক্তারা বলেন, “সিপাহী ও জনতার ঐক্য, দেশপ্রেম এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য ও সমৃদ্ধির স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।”

সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক ও মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম।

জেলা ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, সামিয়া বেগম চৌধুরী, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিগার সুলতানা ডেইজি, ডা. আশরাফ আলী, নুরুল মুমিন খোকন, আফজাল হোসেন, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামরুল হাসান শাহীন।

যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নজিবুর রহমান নজিব, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মূর্শেদ আহমদ মুকুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, আব্দুল আহাদ খান জামাল, শুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাকিল মোর্শেদ, রেজাউল করিম আলো, আহমদ মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু, ফাতেমা জামান রোজি, নাদির খান, আবুল কালাম।

সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ সাফেক মাহবুব, শামীম আহমদ, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক ও দেওয়ান জাকির।

এছাড়াও জেলা ও মহানগর বিএনপির সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলায়েত হোসেন মোহন, তারেক আহমদ খান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, ডা. এম এ হক বাবুল, তাসনিম শারমিন তামান্না, মকসুদ আহমদ, এড. মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, মির্জা সম্রাট, আফসর খান, শেখ কবির আহমদ, সুদীপ জ্যোতি এষ, মো. আব্দুল মুনিম, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সবুর আহমদ খান, তোফায়েল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান মোহন, আব্দুল হাদি মাসুম, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, মিজান আহমদ, আব্দুল আহাদ, রায়হান উদ্দিন মুন্না, হাবিব আহমদ, আব্দুল আজিজ লাকি, সালেহ আহমদ গেদা, খায়েরুল ইসলাম খায়ের, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, শফিক নূর, আমলগীর হোসেন, আলী হায়দার মজনু, আব্দুল মালেক, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, আব্দুল মালেক সেকু, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, নাজিম উদ্দিন পান্না, দেলোয়ার হোসেন দিনার, শামসুর রহমান সুজা, সুমেল আহমদ চৌধুরী, খুর্শেদ আহমদ খুশু, কয়েস আহমদ সাগর, কামাল আহমদ, জালাল উদ্দিন শামীম, আব্দুস সবুর রাসেল, সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, রাজিব কুমার দে, এস এম সায়েম, নজরুল ইসলাম, রায়হান এইচ খান, আক্তার হোসেন রাজু, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ ও হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ।

থানা বিএনপির আহ্বায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওলিউর রহমান চৌধুরী সুহেল, আব্দুল কাদির সমছু, শহীদ আহমদ ও আবুল হাসনাত।

সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদিকুর রহমান টিপু, তোফায়েল আহমদ সুহেল, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, মো. জমির উদ্দিন, বজলুর রহমান ফয়েজ, মন্তাজ মিয়া, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, সুহেল আহমদ, চান মিয়া বাচ্চু, শাহজাহান আহমদ, রাসেল আহমদ খান, মঈন খান, জাহেদ আহমদ, আকবর হোসেন কয়সর, ইফতেখার আহমদ পাবেল, শহিদূর রহমান সানি, মো. হারুনুর রশিদ, মো. নুরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন পারভেজ। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, জাসাসের রাসেল রানা, শ্রমিকদলের আব্দুল আহাদ ও নুরুল ইসলামসহ বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল থানা, ওয়ার্ড, উপজেলা ও পৌর ইউনিটেও পৃথকভাবে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ নিজেদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত