বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :

২৮ মার্চ, ২০১৬ ২২:৪৭

ফুটবল খেলা নিয়ে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফুটবল খেলা নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলাবাসীর সংঘর্ষে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ৩ দারোগাসহ উভয় পক্ষে অন্ত ৩৫জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৫জনকে সিলেট ওসমানী হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইটপাটকেলের আঘাতে অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী নতুন বাজারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ প্রায় ৩ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষের পর দুপুর দেড়টায় ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ৪০রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলি। এর আগে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই সুমন চন্দ্র সরকার, এস আই তোফাজ্জল হোসেন ও এএসআই সায়েম আহত হন। দিনভর উভয় পক্ষে ধাওয়াধাওয়ী আর উত্তেজনার পর অবশেষে সিলেটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিকেল ৫টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্বনাথের ইউএনও মাশহুদুল কবির, ওসমানীনগরের ইউএনও শওকত আলী, বিশ্বনাথ থানার ওসি আব্দুল হাইএবং ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী পরিস্থিতি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে দাবি করে ‘সিলেটটুডে২৪.কম’কে বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উভয় উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল শনিবার নতুন বাজারে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে নতুনবাজারে আবু আল রশিদ ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়াটার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে ওসমানীনগরের পশ্চিম খাইয়া-খাইড় ফুটবল একাদশকে হারিয়ে দক্ষিণ বিশ্বনাথের সোনালী সংঘ বিজয়ী হয়। এসময় বিজয়ী দল মিছিল বের করলে পরাজিত দলের সমর্থকরা মিছিলে হামলা করে। শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। উভয় পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিলে বিশ্বনাথ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ছয়ফুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এঘটনার প্রতিবাদে বিশ্বনাথবাসীর ব্যানারে সোমবার সকালে দুই উপজেলার সমীান্ত নতুন বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। রোববার রাতে দক্ষিণ বিশ্বনাথের বিভিন্ন মসজিদে মাইকিংও করা হয়। একইভাবে নতুনবাজার ওসমানীনগর অংশে ওসমানীনগর উপজেলাবাসীর ব্যানারে খাইয়া খাইড় গ্রামের লোকজনও মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে পাল্টা প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। সোমবার সকালে নিজ নজি প্রতিবাদ সভায় জড়ো হয়ে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজনা সৃষ্টির পাশাপাশি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষে বিশ্বনাথের রাসেল আহমদ (২৬), শিহাব উদ্দিন (২২), বাদশা মিয়া (২৬), জুবেল (২৫), চুনু মিয়া (৩২), জুনেদ আহমদ (২৭) ও সাইদুল ইসলাম কর্ণেল (২৭),  ওসমানীনগরের ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ (৪৮), নানু মিয়া (৩৮), জাবেদ আহমদ (২৮), লুৎফুর রহমান (২৭), আব্দুল মুমিন (২৪), মজমিল আলী মজই (৩৯), থানা পুলিশের আরও তিন দারোগাসহ প্রায় ৩৫জন আহত হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত