হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

১০ জুন, ২০১৫ ১৯:৪২

বানিয়াচংয়ে জলমহালের নিলাম ডাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৫০

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সৈদ্যারটুলায় গ্রাম পাঞ্চায়েতের জলমহালের নিলাম ডাকাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ জুন) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সৈদ্যারটুলা, মাতারপুর ও মজলিশপুর গ্রামে অবস্থিত জাবর জলমহাল ও ছোটবড় ৪/৫টি বিল প্রতি বছরই প্রকাশ্যে নিলাম দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। গত বছর নিলাম প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন সৈদ্যারটুলা গ্রামের সর্দার আবুল কাসেম মবু। ওই বছর ৪০ লাখ টাকায় নিলাম সম্পন্ন হয়। কিন্তু তিনি আর্থিক হিসাব ঠিকমত না দেয়ায় বুধবার সকালে সৈদ্যারটুলা গ্রামকে বাদ দিয়ে মাতারপুর ও মজলিশপুরের গ্রাম পাঞ্চায়েত বানিয়াচং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামাত নেতা ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হন আবুল কাসেম মবু’র ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া। তিনি নিলাম প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ, আজাদ মিয়া, জনি, গোফরান, কিরণ মিয়া, বাচ্চু মিয়া, আব্দুল কদ্দুছ, মুতি মিয়া, সেলিম মিয়া, আবুল ফজল, শাবান মিয়া, আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল আলী, জাহির উদ্দিন, আব্দুর রহমান, এমদাদুল হক, সবুজ মিয়া, হান্নান মিয়া, ফরিদ মিয়াসহ দেড় শতাধিক লোকজন আহত হন।

আহতদেরকে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক হাসপাতাল, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই জলমহাল ও বিল নিয়ে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত