ডেস্ক রিপোর্ট

১৪ জুন, ২০১৫ ১৬:২৮

মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল

আসন্ন রমজান মাসে বিনা বেতনে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও মাসিক বেতনের সমপরিমান ঈদ বোনাস প্রদান, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপনের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৩০৫-এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।

১৩ জুন সন্ধ্যায় হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইন কার্যকর সংগ্রাম পরিষদের আহবানে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলের আগে শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে এক শ্রমিক সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পদক সোহেল আহমেদ। মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৩০৫-এর সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ জসিমউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ প্রধান, কোষাধক্ষ্য তারেশ বিশ্বাস সুমন, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম, চৌমুহনা আ লিক কমিটির আহবায়ক কবির মিয়া, শেরপুর আ লিক কমিটির সহ-সভাপতি রোমেল আহমেদ, রিকশা শ্রমিক সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়া, মোঃ জসিম উদ্দিন, আব্দুল জলিল প্রমূখ। ।

সভায় বক্তারা বলেন দীর্ঘ ১১ মাস কাজ করার পর রমজান মাস আসলে ব্যবসা মন্দার অজুহাত দেখিয়ে অধিকাংশ মালিকরা হোটেল শ্রমিকদের বিনা বেতনে ছাঁটাই করে দেন। ফলে পবিত্র এই মাসে ছাঁটাইকৃত হোটেল শ্রমিকদের জীবনে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা, পরিবার-পরিজন নিয়ে শ্রমিকরা সিয়াম সাধনার পরিবর্তে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। শুধু আইনগতভাবে নয় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের দিক থেকেও হোটেল শ্রমিকদের রমজান মাসে বিনাবেতনে ছাঁটাই করা অন্যায়। সভা শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা চত্ত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত