সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১৫ জুন, ২০১৫ ০১:৫৭

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার ভারে ভারাক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অধিকাংশ সহকারী কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন ও তদারকি না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অপর দিকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বদলী ও নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে গত সপ্তাহে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চলছে নানান গুঞ্জন। নিয়োগ ও বদলি বানিজ্যের অভিযোগ বিষয়ে আজ ১৫ জুন আবারো আসছে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূেত্র জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর শূন্য পদে আর কোনো নতুন কর্মকর্তা যোগদান করেননি। ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের দিরাই উপজেলায় মোট ১৫৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।এ বিশাল এলাকার জন্য মাত্র ৮টি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদ রয়েছে । কিন্তু তার মধ্যে ৫ টি পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। কর্মরত ৩ জনের মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে ১৫৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য পরিদর্শন কার্যক্রম চালাতে মাত্র ২ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন। ২ জনের দ্বারা এ বিরাট অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন সহ তদারকি কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না। 

এর সুযোগে দিরাই উপজেলা অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিয়মিত পাঠদানে যান না। কিছু কিছু শিক্ষক কে প্রতিদিনই উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিশেষ করে পৌর এলাকার কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অফিসপাড়ায় নিয়মিত আনাগোনায় অনেকের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করে। যার কারনে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৪ জন অফিস সহকারীর মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ২ জন। এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির

সদস্য পাকি চৌধুরী বলেন,বিশাল এলাকার এতগুলি স্কুল দেখাশুনা করা জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষা কসিটির অপর সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সর্দার বলেন,ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার আব্দুর রাজ্জাকের বদলি বানিজ্য নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে গত সপ্তাহে একটি তদন্ত হয়েছে,আজ (সোমবার) আবারো আসছেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন,ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা একগুয়েমী আচরনের প্রায়ই শিক্ষকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেন। গত মাসের উপজেলা শিক্ষা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এলাাকার শিক্ষার উন্নয়ন করতে হলে দ্রুত শূন্য পদে শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত