০৯ অক্টোবর, ২০১৫ ১৬:০৭
শরত শেষ হয়ে আসছে, নদীর বালুকাময় তীরে রাশি রাশি কাশফুলও নির্জীব হয়ে আসছে । বিচ্ছিন্ন ভাবে ছোট ছোট কাশবন দেখা হয়েছে অনেক, কিন্তু বড় কোন নদীর তীরে গিয়ে বিস্তীর্ণ কাশবন দেখা হয়নি। তাই ছুটে গেলাম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চর জানাজাত । আমরা আগেই খবর নিয়ে রেখেছি পদ্মার চর জানাজাত এখন কাশফুলে ভর্তি। মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুল বাজারে মোটরবাইক রেখে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ট্রলারে প্রায় দেড় ঘণ্টায় উত্তাল পদ্মা পার হয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম চর জানাজাত।
এতবড় কাশবন আমি কখনই দেখিনি । অবাক হয়ে শুধু চেয়ে রইলাম । পুরোটা চর জুড়েই সাদা হয়ে আছে । উপরে নীল আকাশে ভাসমান তুলোর মত মেঘ । হালকা বাতাসে দুলে উঠা কাশ ফুল গুলো যেন মাথা নেড়ে মেঘদের স্বাগত জানাচ্ছে । আমরা দু ঘণ্টা'র মত ছিলাম কাশবনে । ধবধবে বালির উপর দিয়ে হেটে হেটে এই বিশাল কাশবন আমরা ঘুরে দেখলাম ।
আর কিছুদিন পরেই শরতের এই শুভ্র রূপ আরা দেখা যাবেনা, অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী বছরের জন্য । মেঘের ভেসে যাওয়া ভেলা আর অপরূপ কাশবন দেখার সাধ পূর্ণ করে নিন । পদ্মার তাজা মাছ কেনার সুযোগ তো থাকছেই । ঘুরে আসুন চর জানাজাত থেকে।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসযোগে মাওয়া রোডের দিকে ৪০ মিনিট গেলেই হাতের ডানদিকে শ্রীনগর থানার রাস্তা, এ রাস্তায় কিছুদূর গেলেই ভাগ্যকুল বাজার । সেখান থেকেই ট্রলার ভাড়া করে চর জানাজাত।
ছবি: লেখক
আপনার মন্তব্য