ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ

২৪ জুলাই, ২০২১ ১৬:৫৩

পাকিস্তান কি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের যোগ্য?

খবরে দেখলাম, বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান সরকারকে ১ হাজার কেজি ‘হাড়িভাঙা আম’ পাঠিয়েছে। কূটনৈতিক শিষ্টাচারের খাতিরেই হয়তো পাকিস্তানকে হাড়িভাঙা আম পাঠানো হয়েছে কিন্তু প্রশ্ন হলো পাকিস্তান কি এখনো বাংলাদেশের কাছ থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে?

খুব বেশিদিন আগে নয়, এইতো সেদিনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত যে স্পর্ধা পাকিস্তান দেখিয়েছিলো তা তো ছিলো রীতিমত ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। পাকিস্তানের সঙ্গে তো এখনও আমাদের অনেক হিসেব বাকি আছে, অনেক হিস্যা পাওনা আছে। সেগুলোই তো পাকিস্তান আজও মেটাতে পারিনি, উল্টো আরও ইগনোর করে গেছে প্রতিনিয়ত!

আমরা দেখছি, পৃথিবীর অনেক দেশ ভিন্ন কোন একটি দেশের সাথে তার কৃত অপরাধের জন্য ৫০/৬০ বছর পরে হলেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। পাকিস্তান কি তার কৃত অপরাধের জন্য আজও বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে? ক্ষমা চাইলেও অবশ্য আমরা ক্ষমা করবো না, তাদের ক্ষমা করা উচিতও না। পাকিস্তান ক্ষমা তো চায়ইনি উল্টো আজও এই বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শুধু তাই ই নয় বরং এইদেশের ভিতরেও তাদের ফেলে যাওয়া উত্তরসূরিদের দ্বারা অবিরতভাবে বিভিন্ন দেশবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে!

এর আগে ভারত সরকারকেও আম পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু ভারতে আম পাঠানো হয়েছে বলেই যে পাকিস্তানেও আম পাঠাতে হবে ব্যাপারটি নিশ্চয় তেমন নয়। ভারতের সাথে এখন তিস্তার পানি ও বাণিজ্য ঘাটতিসহ কিছু বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক মতভেদ থাকলেও আমাদের এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মতে যে অকৃত্রিম সহযোগিতা ভারত করেছে তা নিশ্চয় ভুলবার নয়। সুতরাং ভারতে আম পাঠানোর সঙ্গে পাকিস্তানে আম পাঠানোর কোন তুলনাই আসতে পারে না। বরং পাকিস্তানে আম না পাঠালে কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হতো বলেই মনে হয় না।

বস্তুত: পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে আমাদের আর কোন কূটনৈতিক লাভের সুযোগ আছে বলেই মনে হয় না। সুতরাং সহজেই ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া যেতো।

অনেক বীর শহীদানের উত্তরসূরিই পাকিস্তানে আম পাঠানোর ব্যাপারটি সহজভাবে নিতে পারেননি। তারা যে সহজভাবে নিতে পারবেন না এটাই তো স্বাভাবিক কারণ তাদের বুকে যে এখনও স্বজন হারানোর ঘা দগদগ করে জ্বলছে!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত