ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ

১৪ মার্চ, ২০২৩ ০২:০৯

আমরা করের একটি পয়সাও যেন রোহিঙ্গাদের জন্যে খরচ না হয়

এক খবরে দেখলাম, রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ কমছে; কমছে আর্থিক সহায়তাও। ফলে রোহিঙ্গাদের পেছনে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

গত এক বছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে সতের হাজার কোটি টাকা। প্রায় দুটি পদ্মা সেতু তৈরির সমপরিমাণ টাকা। ভাবা যায়!

বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে যেখানে আমাদের নিজেদের নাগরিকরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেও সংসার চালাতে চরম হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গারা এই দেশের অর্থনীতিতে কোন অবদান না রেখেই দিব্যি নবাবী হালেই দিন কাটিয়ে যাচ্ছে আর প্রতিনিয়ত পঙ্গপালের মতো বংশবৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আমাদের প্রবাসী নাগরিকদের অমানবিক ও দুঃসহ শ্রমের বিনিময়ে পাঠানো রেমিটেন্স আর আমাদের প্রতিটি নাগরিকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ করের উপর নির্ভর করে বর্তমান বিশ্বমন্দার মাঝেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি যখন কোনমতে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করছে তখন রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের অর্থনীতির উপর এই বাড়তি চাপ মেনে নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের জন্য সত্যিই কষ্টকর।

আমরা গাধার খাটা খাটবো আর লাগামহীন বাজারমূল্যের কারণে ন্যূনতম প্রোটিনের ঘাটতিটাও মেটাতে পারবো না, আর রোহিঙ্গারা এই দেশের জন্য বিন্দুমাত্র অবদান না রেখেও বছরের পর বছর ধরে রাজার হালে দিন কাটাবে, তা হতে পারে না!

আমার করের আর একটি পয়সাও যেন রোহিঙ্গাদের জন্য খরচ না হয়। রাষ্ট্রের একজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করদাতা হিসেবে অবশ্যই এই দাবি রাখার অধিকার আমার আছে।

  • ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ: চিকিৎসক

আপনার মন্তব্য

আলোচিত