নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০২:৫৮

বাংলাদেশ সফরে জন কেরির যত টুইট

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় ৯ ঘণ্টার এক সরকারি সফর শেষে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ঢাকা সফর সম্পর্কিত বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তাঁর সফরের বিষয়টি নিয়ে মোট ৩টি পৃথক টুইটে সফর সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেছেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

বিমানবন্দর থেকে র‌্যাডিসন হোটেলে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। হোটেল থেকে বের হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে আসেন কেরি। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন বইতে তিনি বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে তার অনুভূতির কথা লিখেন।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পৌঁছান কেরি। সেখানে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশকে এক সঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানান মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়।  

সোমবার সময় ২:২৮ ঘটিকায় টুইটারে জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালীন এক ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেন, #Bangladesh has an extraordinary development story. Pleased to meet w/ PM Sheikh Hasina today. (বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির ইতিহাস রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত)।

এরপর ২:৫৪ ঘটিকায় কেরি আবারও লিখেন, Important discussions today in #Bangladesh incl. on security issues & our strong support in fighting against violent extremism. (নিরাপত্তা ইস্যু ও চরমপন্থি সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতা নিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে)।

আর সর্বশেষ রাত ১০:৫৩ ঘটিকায় কেরি লিখেন, By 2050, 15 million Bangladeshis could be displaced by #climatechange. US & Bangladesh committed to resiliency and clean energy future. (জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হতে পারেন। এ সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও ক্লিন এনার্জি নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।)

সফরে জন কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন জন কেরি এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস (ইএমকে সেন্টার) জন কেরি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সফরসঙ্গীসহ বিশেষ বিমানে চড়ে ঢাকা থেকে দিল্লির পথে রওনা হন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত