সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৬ অক্টোবর, ২০১৬ ১০:৫৪

এটি সেলফি ছিল না, বের হবার সময় পাশ থেকে এক ছোট ভাই তুলেছে: সাংসদ তুহিন

জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে দেখতে গিয়ে তারা সেলফি তোলেননি এটা তৃতীয় একজনের তোলা স্বাভাবিক একটা ছবি ছিল বলে দাবি করেছেন সরকারদলীয় নারী সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুহিন লিখেছেন- "ছবিটি সেলফি না ছোট ভাই বের হওয়ার সময় তুলেছে"।

ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী বদরুল আলম্র চাপাতি কোপে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে  খাদিজা আক্তার নার্গিসকে বুধবার স্কয়ার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নারী নেত্রীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। ছবিটি 'সেলফি' স্টাইলে তোলা বলে মত দেন অনেকে। আইসিইউ এর ভেতরে এমন ছবি তোলা অমানবিকতা বলে মন্তব্য আসে।

তবে সাংসদ লিখেছেন:

ছবিটি সেলফি না ছোট ভাই বের হওয়ার সময় তুলেছে ।আমরা যখন ভাল কাজ করি প্রচার করার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু বিরুদ্ধী প্রচারে কিছু লোক ওস্তাদ যাক ধন্যবাদ এত প্রচার করার জন্য ।ফারুক ভাই স্নেহের মেয়েকে আদর করার ঈদের আনন্দের ছবি দিলেন সেখানে কিছু কুকুর লিখলো সুন্দরী মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন কি নীচ হলে এসব লিখতে পারে ।প্রথম আলো আমার স্ট্যাটাস দিলো না সংসদে যাওয়ার আগ মুহুর্তে হাসপাতালে গেলাম সেখানে লিপস্টিক খুঁজে বের করলেন ।একটি মেয়ের পক্ষ নিয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ।আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি মেয়েটির প্রতি কি মায়া লাগছিল যারা ছবি বিশ্লেষণ করবে তারা বুঝতে পারবে ।আমি সেলফি তুলতে ভালবাসি ৮ দশটা মানুষের মত আমি এমপি হলেও সবার মত আমার ও মন আছে কিন্তু কারো ক্ষতি করি না ।ছবিটি সেলফি এটা তাদের কে বললো জানি না সেলফির মত কিনা কিন্তু সেলফি না ।




অপর এক স্ট্যাটাসে এই সাংসদ সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। তিনি লিখেছেন মেয়েটি মারা গেছে বলে অপপ্রচার চলছিল তাই ছবি তোলেছিলেন তারা তবে সেসব ছবি সেলফি নয়।

তিনি লিখেন:

আমার গতকালের স্ট্যাটাসের জন্য যদি আমার কোন ভুল হয়ে থাকে এবং কেউ মর্মাহত হয়ে থাকেন আমি এ ব্যপারে দু:খিত ।আমি মেয়েটা মারা গেছে বলে যে গুজব ছড়িয়ে পরে আমার বান্ধবী মিরা স্ট্যাটাস দেয় বোন খাদিজা ক্ষমা করিস লিখে ।আমাদের ছবি দেয়ার উদ্দেশ্য কেবল আমরা নারী সমাজ খাদিজার পাশে আছি এটা বোঝানোর জন্য আর ও বেঁচে আছে এটা জানানোর জন্য।আমার স্ট্যাটাসে বদরুলের ফাঁসি চেয়ে নির্মম ঘটনার নিন্দা করে সট্যাটাস দেয়া হয়েছে ।আমার যদি ভুল হয়ে থাকে তবে আমি ক্ষমা পার্থী ।আমরা সব নির্যাতিত নারী সমাজের পাশে আছি থাকবো ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত