সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৬ ১৫:০৪

ভুল ছবি দিয়ে খাদিজাকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের প্রেম প্রমাণের চেষ্টা হিসেবে কিছু ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই ছবিতে নির্দেশিত ব্যক্তিটি বদরুল নন বলে ছবির ব্যক্তি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন।

ফেসবুকে দু'জন তরুণ-তরুণীর আলিঙ্গনাবদ্ধ একটি ছবি যুক্ত করে দাবি করা হচ্ছে, এই ছবির ব্যক্তিরা বদরুল আলম ও খাদিজা বেগম। এই ছবি দিয়ে বদরুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এমনটিও প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যদিও ওই ছবির তরুণ নিজের ফেসবুকে জানিয়েছেন, এই ছবিটি তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর। এই ছবি নিয়ে অপপ্রচার না করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। অন্যদিকে হত্যাচেষ্টাকারী বদরুল গণপিটুনি খেয়ে বর্তমানে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে রয়েছে।

এদিকে, খাদিজা আক্তার নার্গিসকে প্রকাশ্য দিবালোকে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপানোর ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠলেও কিছু সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভুল ছবি ব্যবহার করে বদরুল ও খাদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার প্রতিবাদ করেছেন ছবিতে নির্দেশিত ব্যক্তি নিজেই।

রিমন খান নামের ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর ছবি ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, এটা ভুয়া। কে খাদিজা আর কে বদরুল এটা আমি জানিও না। আমি রিমন এবং এটা আমার স্ত্রী... বন্ধুরা দয়া করে এ ধরনের কোন আইডি বলে সাথে সাথে ব্লক মারবেন। কেউ এটা ফাজলামি করছে। এধরনের আইডি পেলে রিপোর্ট করবেন সাথে সাথে।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট এমসি কলেজ থেকে পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস।

তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বদরুল আলম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত