সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ অক্টোবর, ২০১৬ ১৮:৪২

নির্মলেন্দু গুণের আহ্বানে কবিতাকুঞ্জে পরীমণির এক লাখ টাকা অনুদান

''হ্যালো স্যার, আমি কবিতাকুঞ্জ’-এর কাজের জন্যে কিছু করতে চাই। সুযোগ দিবেন স্যার? আমি পরীমনি। চলচ্চিত্র আভিনেত্রী।” গত ১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) কবি নির্মলেন্দু গুণকে মুঠোফোনে কথাগুলো বলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরী মনি।

জবাবে নির্মলেন্দু গুণ ১২ অক্টোবর (বুধবার) পরী মনিকে বলেন, ‘তুমি আমাদের নির্মাণাধীন কবিতাকুঞ্জের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছো। এজন্য আমি খুবই খুশি হয়েছি। অন্তরে আনন্দ লাভ করেছি। মুঠোফোনে তোমাকে উত্তরও দিয়েছি। তুমি মনে হচ্ছে নিজেও কবিতা লেখো। তাই কবিতাকুঞ্জের প্রতি তোমার মায়া পড়েছে।’

গুণ আরও বলেন, ‘আমরা অর্থসংকটে আছি। তাই অর্থ সাহায্য চেয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে ঐ স্ট্যটাসটি তোমার চোখে পড়েছে। অনেকে যথাসাধ্য সাহায্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু নায়ক-নায়িকা বা গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে তুমিই প্রথম কবিতাকুঞ্জের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করলে। তোমাকে দোয়া করছি। অভিনয়জীবনে তুমি নিশ্চয় আরো অনেক বড় সাফল্য লাভ করবে। তুমিই নিজেই স্থির করো-- তুমি কীভাবে কবিতাকুঞ্জকে সাহায্য করতে চাও।’

কবিতাকুঞ্জের জন্য পরী মনি এক লাখ টাকা দিতে চান উল্লেখ করে নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘আজ (১৩ অক্টোবর) সকালে পরীমনির সঙ্গে মুঠোফোনে আমার কথা হয়েছে। সে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানিয়েছে- শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে গতকাল কবিতাকুঞ্জ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। আমার বিকাশ নম্বরে একদিনে ২৫ হাজারের বেশি টাকা পাঠানো যায় না বলে সে আমার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে চায়। সে এক লাখ টাকা দিতে চাইছে। আমি পরীমনিকে আমার ব্যাংক একাউন্ট সম্প্রকিত তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছি এবং কবিতাকুঞ্জের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে নির্মাণাধীন কবিতাকুঞ্ছের বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছি ওর ম্যাসেজ ইনবক্সে। ধন্যবাদ পরীমনি। আমরাও তোমার পাশে আছি।’

এ প্রসঙ্গে পরী মনি বলেন, ‘আমি আসলে কবিতা পছন্দ করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পছন্দ করি। তাই কবিতাকুঞ্জের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। শ্রদ্ধেয় নির্মলেন্দু গুণ ফেসবুক স্ট্যাটসের মাধ্যমে আমাকে এই সম্মান দেবেন কল্পনাও করিনি। আমি কবি নির্মলেন্দু গুণের কাছে কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য ‘কবিতাকুঞ্জের জন্য অর্থ সাহায্য চাই’- শিরোনামে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। সেই স্ট্যাটাসে গুণ লিখেন, ‘নেত্রকোণার শহরতলী মালনীতে, মগরা নদী তীরে নির্মাণাধীন কবিতাকুঞ্জের ভবন নির্মাণ সম্পন্নকরণ, বিদ্যুত সংযোগ স্থাপন, পানির জন্য সাবমারসিবল পাম্প বসানো, পাঠাগারের জন্য বই কেনা ও বই রাখার জন্য আলমারি ও বসার জন্য চেয়ার টেবিল কিনতে কম করেও ৫-৭ লাখ টাকা দরকার হবে। আমার নিজের টাকা শেষ। সামনে কোনো অর্থকরী পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। এমতাবস্থায় আমি আপনাদের কাছে প্রস্তাবিত কবিতাকুঞ্জের জন্য অর্থ সাহায্যের আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমার বিকাশ নম্বরে (০১৯৫৫৩১৪৬৪৫) অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত