২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১১:২৬
ঢাকা শহরের রিকশার সিটগুলো এতো ছোট কেন? শরীরকে সামঞ্জস্য করে বসতে হয়। বারবার এ্যডজাস্ট করে নিতে হয় কম্পিউটারে রিফ্রেশ বাটন চাপার মত। আর এদিক থেকে মফস্বলের রিকশাগুলো বেশ বড়সড়। রিকশায় বসলে আয়েশ করে বসা যায়, একটা ভাবও আসে!
ঢাকা শহরে মোট গণপরিবহন দরকার ১৮ হাজার কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র ৪ হাজার। তাতেই জ্যামের কি করুণ অবস্থা বোঝেন। এইবার ভাবেন তো আগামী এক বছরে যদি এই ৪ হাজার ৮ থেকে ৯ হাজারে পৌছায় তাইলে কি হবে? গাড়ি সব রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকবে সামনে আর চলতে হবে না।
সকালে অফিস করতে বের হই ৭.১০ এ ঘরে ফিরি রাত ৭টায় অফিস বেতন দেয় ৮ ঘণ্টার জন্য। বাকি ৪ ঘণ্টার টাকা কে দিবে? আর এই যে অমানুষিক কষ্ট কি দিয়ে লাঘব হবে? ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝিম মেরে বসে থাকা। সংসার, সন্তান, মা বাবা কাউকে সময় দেয়া হয় না। দিন দিন অসামাজিক হয়ে যাচ্ছি আমরা, তবুও রক্ষে মোবাইল, রেডিও, ফেইসবুক আছে না হয় এই যাত্রা পথের কষ্টে মানুষ অনেক আগেই মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যেত।
সরকার টাকা বাড়ায় সরকারী চাকুরীজীবীদের কিন্তু সেই কুফল পড়ে সবার উপরে। দ্রব্যমূল্যে তো আর সরকারী চাকুরে দেখে বাড়ে না। তাইলে সরকার যখন বেতন বাড়াবে সাথে সাথে বাকি সবাইকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বাড়াতে বাধ্য করতে হবে।
ফুটপাতে হাঁটা যায় না। খেয়াল করে দেইখেন একটানা ২ - ৩ মিনিট কোন ফুটপাতে আপন মনে হাটতে পারবেনই না। কারো না কারো সাথে আপনার ধাক্কা লাগবেই। মানুষের পরিমাণ এতো বেশি যে তা উপচে পড়ার মত অবস্থায় পৌঁছেছে।
কেউ কোন নিয়ম মানে না। কি অদ্ভুত শহর। ৯৫% অনিয়ম নিয়ে সুন্দর চলেও যাচ্ছে প্রত্যেকটা দিন। এতো বেশি সহ্য ক্ষমতা আমাদের ভাবাই যায় না। রেকর্ড বুকে বাংলাদেশের নাম থাকা উচিত সবচেয়ে সহনশীল জাতি হিসাবে।
হিসেব করে দেখলাম এই শহরে চা দোকানে সবচেয়ে বেশি ভিড়। বেশ বিক্রিও আছে দেখলাম। দিনে ৬ টাকা দরে ১ হাজার কাপ চা বিক্রি হলে সব কিছু বাদ দিয়ে ৪ হাজার ৭-৮শ টাকার মত লাভ থাকে বাকি সবকিছু বাদ দিয়েই হিসেব করলাম। খালি চা দোকান না রাস্তায় বেচা যেকোনো দোকানই বেশ ভালো চলে। চলবে নাই বা কেন এতো মানুষ বিক্রি হবেই।
ঢাকা ফাঁকা করতে হলে কয়েকটা কাজ করলেই যথেষ্ট মনে করি।
এই কয়টা কাজ করলে মনে হয় ঢাকা আবার ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। আমি বোদ্ধা নই, তবে এইটুকু তো বোঝাই যায়!
আপনার মন্তব্য