সাব্বির খান

১৩ নভেম্বর, ২০১৬ ২২:২৪

ধর্ষণ একটি অপরাধের নাম

‘ধর্ষক’ নয়, ছাত্রলীগের একজন নেতার অপরাধের খবর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়াগুলো। আমার ধারনা, এভাবে রিপোর্ট করা হয় শুধুই খবরের মুখরোচকতা এবং কাটতি বৃদ্ধির জন্য। অথচ এভাবে রিপোর্ট করার কারণে অনেকক্ষেত্রে মূল অপরাধীর অপরাধের ভার লঘু হয়ে যায়, এটা ভেবে দেখা উচিত।

এই ধারার রিপোর্টকে যদি সঠিক ধরা হয়, তাহলে রাস্তার একজন পকেটমারের প্যান্ট বা লুঙ্গি খুলে দেখা উচিত সে কোন ধর্মের প্রতিনিধি। অনেক সময় দেখা যায়, "অমুক এমপি, মন্ত্রী বা নেতার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার"-এর খবর। আর সাধারণের বেলায় পিতা-মাতা, পদ-পদবী বা দলের নাম খবরের শিরোনামে থাকেনা, যদিও প্রতিটা মানুষেরই কিছু না কিছু পরিচয় থাকে। এভাবে আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যায়।

বাংলাদেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা দেখি, তারজন্য মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠের মত সরকার এবং মিডিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায় বহন করেন। তবে এটাও সত্য যে, বাংলাদেশের সক্ষম, বিখ্যাত, ধনী এবং প্রভাবশালীদের বিচার হয়না সর্বক্ষেত্রে।
একারণে হয়ত মিডিয়াগুলো এভাবে লিখে থাকেন এবং তা যথেষ্ট বোধগম্য। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে যদি আইনের শাসনের সুরক্ষা দেয়া হতো, তাহলে সম্ভবত মিডিয়াকেও এভাবে লিখতে হতোনা।

এধরনের খবরে বিভিন্ন গোত্রের, দলের বা গোষ্ঠীর ভাল মানুষদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। একই সাথে শত্রুভাবাপন্ন বিরোধী পক্ষের হাতে হাতিয়ার তুলে দেয়া হয় প্রতিপক্ষকে সমূলে আঘাত করার জন্য। আমার দৃষ্টিতে, একটা মিডিয়ার দায়ভারের জায়গাটা অনেক ক্ষেত্রে সরকারের চেয়েও বেশি। অত্যন্ত স্পর্শকারতা বিষয়গুলোকে মিডিয়াই পারে সঠিক পথে পরিচালিত করতে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ব্যর্থ হয় অনেক ক্ষেত্রে।
[ফেসবুক থেকে]

  • সাব্বির খান : কলামলেখক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত