নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০১:৩৪

সিলেটটুডে-সিসিক ভাষাসৈনিক সম্মাননা: ৭ গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য সিলেটের ভাষাসংগ্রামীদের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম। ধারাবাহিক এ আয়োজনে প্রথম দফায় আজ রোববার ৭ ভাষাসৈনিককে সম্মাননা জানানো হবে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় নগরীর দরগা গেইটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকের গ্র্যান্ড সেলিব্রেটি হলে (লেভেল ৮) এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথম পর্বে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ (মরণোত্তর), সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরণোত্তর), শিক্ষাবিদ ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর), কমরেড আসদ্দর আলী (মরণোত্তর) ও ডা. মো. হারিছ উদ্দিন (মরণোত্তর)-কে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত, কবি মোফাজ্জল করিম ।

আবুল মাল আবদুল মুহিত
আবুল মাল আবদুল মুহিত একাধারে লেখক গবেষক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ ও অর্থনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত।

১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া আবুল মাল আবদুল মুহিত কৈশোরে ছাত্র সংগঠন এবং ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। সেসময় সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহবায়ক থাকাকালে কিছুদিন জেলেও ছিলেন।

কর্মজীবনে পূর্ব পাকিস্তান এবং কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারে প্রায় ১৩ বছর চাকরি করে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে অর্থনৈতিক কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্তি পান ১৯৬৯ সালে। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ’৭১ সালে গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সংগ্রহে বিশ্বব্যাপী কাজ করেন।

১৯৮১ সালে ২৫ বছরের সরকারি চাকরির পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে স্বেচ্ছা অবসরে যান। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে উঠে। প্রথমে পরশ এবং পরে বাপা-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনেরও পরপর দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন।

তিনি ১২ বছর বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

লেখক হিসেবে সুপরিচিত মুহিত তিনি বহু গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখে থাকেন।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই গুণী ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেছেন।

আব্দুস সামাদ আজাদ
১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জন্ম নেওয়া আব্দুস সামাদ আজাদ ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন।

১৯৪০ সালে সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে তার এম এ ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া হয়।

১৯৪৪ সাল থেকে ৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিলেট জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন।

১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি মুজিবনগর সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সামাদ আজাদ বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই গুণী ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেছেন।

এম. সাইফুর রহমান
চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ও রাজনীতিক এম, সাইফুর রহমান ১৯৩২ সালের ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সাইফুর রহমান ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি গ্রেপ্তারও হন এবং একমাস কারাবরণ করেন।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৫ সালে সাইফুর রহমানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

সাইফুর রহমান ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলে যোগ দেন।

তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী এবং পরে আরও দশ বছর অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।

ডা. মো. হারিছ উদ্দিন
১৯২৫ সালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জন্ম নেওয়া মো. হারিছ উদ্দিন ভাষা আন্দোলনের সময় পুরান ঢাকার চকবাজারে জুবিলি মেডিকেল হলের একটি কক্ষে থাকতেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে রাষ্ট্রভাষা কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। পুলিশি ধরপাকড় এড়াতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পর দুই রাত তাকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।

তিনি কর্মজীবন শুরু করেন চিকিৎসক পেশার সরকারি চাকরি দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসা সেবার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার কর্মজীবন।

১৯৭১ সালের মে মাস থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট সাব-সেক্টরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ডেপুটি সিভিল সার্জনের দায়িত্বে ছিলেন হারিছ উদ্দিন। ১৯৮৫ সালে তিনি চাকুরি থেকে অবসর নেন।

২০১২ সালের ১০ জুন সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

মনির উদ্দিন আহমদ
অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ ১৯২৩ সালে আসাম প্রদেশের তৎকালীন কাছাড় জেলার জন্মগ্রহণ করেন। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় তার পৈত্রিক নিবাস।

কর্মজীবনে আইনজীবী মনির উদ্দিন টানা দু’বার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। সিলেট জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া সিলেট ল’কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি।

ছাত্রজীবনে ১৯৪০ সালে তৎকালীন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন এবং ঐ বছরেই এ ছাত্র সংগঠনের হাইলাকান্দি মহকুমা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে কাছাড় জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে তরুণ আইনজীবী হিসেবে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করেন। ভাষার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে প্রথম সভা এবং ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে গোবিন্দ পার্কের জনসভায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার খবর সিলেটে পৌঁছলে তিনিসহ আইনজীবীরা আদালত ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসে ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন। সিলেটে ছাত্র ইউনিয়ন নামের সংগঠন গড়ে তুলতে তিনি ভূমিকা রাখেন।

১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকেন এবং সিলেট জেলার ন্যাপের প্রথম কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে সভাপতি ও প্রাদেশিক কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০১৯ সালের ২ মে তিনি মারা যান।

কমরেড আসাদ্দর আলী
কমরেড আসাদ্দর আলীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বালাগঞ্জ থানাধীন তাজপুরে। সিলেটে ১৯৪৮ এবং ১৯৫২ সালে আন্দোলনের দু’পর্যায়ে যে কয়েকজন ভাষাসংগ্রামী অনবদ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অগ্রবর্তী ছিলেন আসাদ্দর আলী।

কর্মজীবনে তিনি ছিলেন একজন হোমিও চিকিৎসক। গরীব-মেহনতি মানুষকে তিনি বিনা পয়সায় হোমিও চিকিৎসা প্রদান করতেন। সাংবাদিকতা, প্রেস ও প্রিন্টিং এর সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি।

আজীবন সমাজতান্ত্রিক আসাদ্দর আলী রাজনীতিতে জেল, হুলিয়ায় ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও নিজ জন্মস্থান ও স্থানীয় সমাজসেবা নিয়েও ভাবতেন। তাজপুর মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এবং এর উন্নয়নে অর্থ সংগ্রহের জন্যে তিনি বিলেত পর্যন্ত গিয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালে ভয়াবহ বন্যায় দেশের অপরাপর অংশের সাথে সিলেটও উপদ্রুত হলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাঁর উদ্যোগে গঠিত কমিটির পরিচালনায় সিলেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল চ্যারিটি ফুটবল খেলার।

১৯৫১ সালে ফরেস্টার পদে যোগদান করলেও কয়েক মাসের মধ্যেই চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে সার্বক্ষণিক রাজনীতি চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে ঢাকায় ছাত্র ইউনিয়ন জন্মলাভের অব্যবহিত পূর্বে সিলেটে ছাত্র ইউনিয়ন নামের সংগঠন গড়ে তুলতে যারা অবদান রেখে গিয়েছেন তাদের মধ্যে আসদ্দর আলী অন্যতম।

ছাত্র ইউনিয়নের পর দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন পর্যায়ক্রমে।

১৯৯০ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি কমরেড আসাদ্দর আলীর মৃত্যু বরণ করেন।

ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী
ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী সিলেটের গোলাপগঞ্জে ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫২ সালে ছদরুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মিছিল-মিটিং কিংবা গোপন সভা হতো ভাষাসংগ্রামীদের। সেসব কর্মকাণ্ডে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন তরুণ ছাত্র ছদরুদ্দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও সংগঠনের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহী কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর কর্মজীবন শুরু হয়।

১৯৫৮ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে সিলেটের নবপ্রতিষ্ঠিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি সে পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।

লেখক হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত