আরিফুল হক চৌধুরী

২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০০:০০

ভাষাসৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

দীর্ঘ মুক্তির সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতি মুক্তিযুদ্ধ থেকে বাংলাদেশ। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় লাখো মানুষের আত্মত্যাগ, জীবন-যৌবন ব্যয়, স্বাধীনতাকামী মানুষের অদম্য চেতনার বাতিঘর আজকের এই বাংলাদেশ।

বাঙালির স্বাধিকার আর মুক্তির সংগ্রামের প্রাথমিক ধাপ মহান ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন মায়ের ভাষা বাংলার রক্ষার দাবির আন্দোলন। এই আন্দোলন শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, ভাস্বর হয়েছে তাদের আত্মদান। তাদের সেই আত্মদানের পথ পরিক্রমায় রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায় বাংলা। এরপর দীর্ঘ মুক্তির সংগ্রামের পরের ধাপগুলো পেরিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলাও পেয়েছে বিশ্বস্বীকৃতি। ফলত জাতিসংঘের ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই স্বীকৃতিতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষা এবং আমাদের ভাষা আন্দোলন মর্যাদার আসনে সমাসীন হয়েছে।

ভাষা আন্দোলন কেবল বায়ান্নর এক বিচ্ছিন্ন আন্দোলন নয়, এরও রয়েছে অতীত ইতিহাস। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের আবার দুইভাগ ছিল; পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সীমান্তরেখাহীন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ভাষাও ছিল ভিন্ন। সীমান্তরেখা ভিন্নতা ও ভাষার ভিন্নতার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নানা দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যার শুরুটা হয়েছিল ভাষা থেকেই। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন দেখা দেয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং উর্দুভাষীদের দাবি, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে দাবি ওঠে, বাংলাকেও অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে হবে।

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন, প্রদেশের সরকারি কাজকর্মে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে তা প্রদেশের জনগণই ঠিক করবে। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু। সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় এবং ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালিত হয়। ৩১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধিদের এক সভায় ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়, যার আহবায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব। এ সময় সরকার আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব পেশ করে। এর বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল, জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এসব কর্মসূচির আয়োজন চলার সময় সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ-শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আবুল হাশিমের (১৯০৫-৭৪) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা হয়। ১৪৪ ধারা অমান্য করা হবে কি না এ প্রশ্নে সভায় দ্বিমত দেখা দেয় তবে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার সঙ্কল্পে অটুট থাকে।

পরদিন সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়। সভা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ উপাচার্য ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার জন্য ছাত্রদের অনুরোধ করেন। তবে ছাত্র নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে আবদুল মতিন এবং গাজীউল হক নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের হাজার হাজার ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়। ছাত্ররা পাঁচ-সাতজন করে ছোট ছোট দলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে, ছাত্রীরাও এ আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সামলাতে ব্যর্থ হয়ে গণপরিষদ ভবনের দিকে অগ্রসররত মিছিলের উপর পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুল জববার, আবুল বরকত (রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ শ্রেণির ছাত্র) নিহত হন। বহু আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাদের মধ্যে সেক্রেটারিয়েটের পিয়ন আবদুস সালাম মারা যায়। অহিউল্লাহ্ নামে আট/নয় বছরের এক কিশোরও সেদিন নিহত হয়।

এ সময় গণপরিষদের অধিবেশন বসার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিশের গুলি চালানোর খবর পেয়ে গণপরিষদ সদস্য মওলানা তর্কবাগীশ এবং বিরোধী দলের সদস্যসহ আরও কয়েকজন সভাকক্ষ ত্যাগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। অধিবেশনে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমীন বাংলা ভাষার দাবির বিরোধিতা অব্যাহত রেখে বক্তব্য দেন।

পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল গণবিক্ষোভ ও পুলিশি নির্যাতনের দিন। জনতা নিহতদের গায়েবানা জানাজার নামায পড়ে ও শোকমিছিল বের করে। মিছিলের উপর পুলিশ ও মিলিটারি পুনরায় লাঠি, গুলি ও বেয়োনেট চালায়। এতে শফিউর রহমানসহ কয়েকজন শহীদ হন এবং অনেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। ছাত্ররা যে স্থানে গুলির আঘাতে নিহত হয় সেখানে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৩ সালে এই অস্থায়ী নির্মাণের জায়গায় একটি কংক্রিটের স্থাপনা নির্মিত হয়।

গণপরিষদ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিয়ে একটি বিল পাস করে। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন অব্যাহত ছিল। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অনুমোদনের মাধ্যমে এই আন্দোলন তার লক্ষ্য অর্জন করে। জাতীয় পরিষদে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) এক পর্যায়ে এর সদস্য ফরিদপুরের আদেলউদ্দিন আহমদের (১৯১৩-১৯৮১) দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা ও উর্দু উভয় ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার এই আন্দোলন কেবল ঢাকা শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি সিলেটেও প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ে। উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও প্রচারণা চালায় মুসলিম লীগের কর্মী-সমর্থকরা। তাদের এই অপতৎপরতার বিপরীতে সোচ্চার থেকেছেন সিলেটিরা। ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকারের যানবাহন ও যোগাযোগমন্ত্রী আবদুর রব নিশতার সিলেটে এলে আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যম এবং অফিস আদালতের ভাষা হিসেবে বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানান। ওই দিন জোবেদা খাতুন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি নারী প্রতিনিধি দলও মন্ত্রীর সাথে দেখা করে একই দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ইংরেজির পাশাপাশি পরিষদে বাংলায় বক্তব্য রাখার প্রস্তাব করলে মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন তার ঘোর বিরোধিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন বিরোধিতার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নামে। সিলেটেও এর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এখানকার একদল নারী বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। সেই স্মারকলিপিতে সাক্ষর করেছিলেন তারা হচ্ছেন সিলেট জেলা মহিলা মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট জোবেদা রহিম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দা শাহার বানু, সেক্রেটারি সৈয়দা লুৎফুন্নেছা খাতুন, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষয়িত্রী রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।

‘ভাষা আন্দোলনে সিলেট’ প্রবন্ধে তাজুল মোহাম্মদ লিখেছেন- ‘১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সিলেট সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধারণ করে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, অফিস-আদালত কর্মচারী শূন্য, রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই; স্কুল কলেজে পূর্ণ ধর্মঘট। মিছিলের পর মিছিল বের হচ্ছে। সম্পূর্ণ শহর শোকে মোহ্যমান এবং প্রতিবাদমুখর। মুসলিম লীগ সরকারের এই জুলুমের প্রতিবাদে সমগ্র সিলেটবাসীই সোচ্চার। মুসলিম লীগের ভেতরেও এর প্রতিক্রিয়া কম হয়নি। সিলেটের জননন্দিত মুসলিম লীগ নেতা মাহমুদ আলী, এ জেড আবদুল্লাহ ও আবদুর রহিম (লাল বারী) এবং মতসির আলী (কালা মিয়া) দল থেকে পদত্যাগ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় আবার বসে সংগ্রাম কমিটি। গৃহীত হয় পরবর্তী কর্মসূচি। বিকেল ৩ টায় গোবিন্দচরণ পার্কে অনুষ্ঠিত হয় জনসভা। জেলা বার এসোসিয়েশন সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করে পরের দিনও হরতাল আহ্বান করা হয়। সভা শেষে একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় এমএলএ ও মুসলিম লীগ সরকারের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে। আর একটি দীর্ঘ মিছিল রাত ৮ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও পাড়ামহল্লা প্রদক্ষিণ করে। ঐ দিনই পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যায় শহর। সমানভাবে চলছে মাইকিং। সংগ্রাম পরিষদের কর্মসূচি মাইকে প্রচার করা হচ্ছে অবিরত। গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে। তারপর সেখান থেকে বের হয় এক বিশাল গণমিছিল। কারো কারো মতে সাতচল্লিশের গণভোটের পর এত বড় মিছিল আর দেখেনি কেউ সিলেটে।’

মায়ের ভাষা রক্ষার দাবিতে সিলেট, ঢাকাসহ সারাদেশে অগণন নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল। তাদের সেই আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের ফলাফল ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের গণযুদ্ধে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণ, সেক্টর কমান্ডারসহ পোশাকি বাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব, ত্রিশ লক্ষ মানুষের শহীদ হওয়া, দুই লক্ষ মা-বোনের ওপর শারীরিক নির্যাতন শেষে দুষ্কৃতিকারী পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ; এবং আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ভাষা থেকে শুরু করে দেশের জন্যে মানুষের এত এত আত্মদানের ফসল এই বাংলাদেশ। আমরা বীরের জাতি। এই বীরদের সম্মান জানানো তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আমাদের দায়িত্বের পর্যায়ে পড়ে। ইতিহাসের এই দায়বদ্ধতা থেকে এবার সিলেট সিটি করপোরেশন ও অনলাইন গণমাধ্যম সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম ভাষাসৈনিকদের সম্মাননা জানিয়েছে। ধারাবাহিক এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার আমরা এবার সাত ভাষাসৈনিককে সম্মাননা জানাচ্ছি। সম্মাননাপ্রাপ্ত এই ভাষাসৈনিকদের মধ্যে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, আব্দুস সামাদ আজাদ, এম. সাইফুর রহমান, ড. ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ডা. হারিছ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ, কমরেড আসাদ্দর আলী। সম্মাননাপ্রাপ্ত এই ভাষাসৈনিকসহ সকল ভাষাসৈনিকের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।

আরিফুল হক চৌধুরী: মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন।
লেখাটি ভাষাসৈনিক সম্মাননা ২০২০ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ ‘শব্দগান রক্তমিতা’য় প্রকাশিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত