জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ২১:৫৭

শেষ মুহূর্তে এসে প্রস্তুত বিশ্বনাথের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি। এইদিনের প্রথম প্রহরেই দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় পালন করা হবে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একইসাথে প্রত্যেকটি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদদের। সেজন্য সকল জায়গায় আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। রং-তুলির শৈল্পিক আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে শহীদ মিনারগুলোকে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেলো সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়।

মহান একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর গড়িয়ে বিকেল এলেও এখানে ছিলো না আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালনের প্রস্তুতি। বিকেল তিনটার পর বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে থাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে দাঁড়িয়ে দেখা গেলো শেষ মূহুর্তে এসে কয়েকজন শ্রমিক বৈদ্যুতিক বাল্ব ও কালো পর্দা টাঙাছেন। এছাড়া শহীদ মিনারের পাশে রাখা হয়েছে দুইটি বড় বাঁশ। এ দিয়েই নেয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতি।

সেখানে উপস্থদের সাথে কথা বলে জানা গেলো উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সাজ সজ্জা করা হচ্ছে না। বিশ্বনাথের থিয়েটারের কর্মীদের রং-তুলির আঁকা ছবিতে ফুটে উঠছে শহীদ মিনারের সৌন্দর্য, ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে প্রস্তুত করা হয় শহীদ মিনার।

শহীদ মিনারে আলপনা অলংকরণ করেন বিশ্বনাথ থিয়েটারের সভাপতি আনহার আলী, সাধারণ সম্পাদক নবীন সোহেল, সহ-সাধারন সম্পাদক আরফাতুল হাসান মুহিন, সদস্য জুয়েল আহমদ, মাজহারুল ইসলাম, শফিক রুহিন, ফয়জুল ইসলাম, রশিদ আহমদ, ইসমাইল অপু, আব্দুল হেকিম ও পান্না বেগম।

এ প্রসঙ্গে কথা হলে বিশ্বনাথ থিয়েটারের সভাপতি আনহার আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, একুশের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে শহীদ মিনারে বর্ণ মালা আাঁকসহ ‘আলপনায় একুশের চেতনা’ অলংকরণ করা হয়েছে। তার মতে ভাষা ও ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীকও এটা।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকও দাবি করা হয়েছে শহীদ মিনারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ জন্য সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আলাদা লাইটিং করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম প্রহরের পর দিনের বেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত